দেউচা পাচামিতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি রাখতে মোটা অঙ্কের আর্থিক প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধেই। এই সংক্রান্ত একটি ফোনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভাইরাল অডিওর সত্যতা যাভাই করেনি ‘এখন খবর’।
কলকাতার জনৈক প্রসেনজিতের সঙ্গে আর এক নেতার আদিবাসী ভাষায় সেই ফোনালাপে শোনা যাচ্ছে, আন্দোলন চালিয়ে যেতে কুড়ি লক্ষ টাকার ভাগ-বাটোয়ারার কথা। যে টাকা দিতে নাকি রাজি হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বলা হচ্ছে, স্থানীয়দের মধ্যে সেই টাকা দিতে হবে, যাতে তাঁরা ধর্ণায় বসেন। সরকারের বিরোধিতা করেন টাকার বিনিময়ে। এনিয়ে সরব তৃণমূল।
শাসকদলের দাবি, ‘এলাকার মানুষ চান প্রকল্প। খনি ঘিরে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা স্থানীয়দের কাছে তাড়া খেয়ে, কালো পতাকা দেখে এবার টাকার থলি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। সেখানকার মানুষকে টাকা দিয়ে কিনতে চাইছে। সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামানোর এই প্রচেষ্টা অবশ্য সফল হবে না। কারণ বৃহস্পতিবার সুকান্তবাবু ও শুভেন্দুবাবু এখানে এসে বুঝে গিয়েছেন, মানুষ পাশে নেই’।
বৃহস্পতিবার বেলায় বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে দেউচা পাচামি এলাকার আদিবাসীরা জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের ভালর কথা বিজেপিকে ভাবতে হবে না। খনি নিয়ে কোনও রাজনীতি বরদাস্ত করবে না বীরভূম জমি-জীবন-জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা। বিজেপি যখন রাইপুর থেকে দেউচায় পদযাত্রা করছে, তখনই আদিবাসীদের বড় অংশ একেবারে পথে নেমে বিরোধিতায় গেরুয়া শিবির। কালো পতাকা দেখিয়ে পালটা স্লোগান দিয়েছে। অথচ এই আদিবাসীদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধেই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘এলাকার আদিবাসীরা আজ আমাদের মিছিলে আছেন। বিক্ষোভকারীদের পিছনে অন্য কারও মদত আছে। তবে আদিবাসীরা চাইলে আমরা দলীয় পতাকা ছাড়া আদিবাসীদের আন্দোলনে শামিল হতে রাজি আছি’।