চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দু’দফার ভোটগ্রহণ। এর মধ্যেই জোরকদমে চলছে প্রচার। এবার জনসংযোগের জন্য লোকাল ট্রেনকে বেছে নিলেন বারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। টিকিট কেটে, ট্রেনে উঠে নৈহাটি থেকে বারাকপুর পর্যন্ত যাত্রীদের সঙ্গে ভ্রমণ করলেন তিনি। নিত্যযাত্রীরা সেলফি তুললেন তাঁর সঙ্গে। পুরনো বন্ধুরা চা খাওয়ালেন পার্থ ভৌমিককে। শনিবার ১০.৪৭ মিনিটের নৈহাটি লোকালে চাপেন পার্থ। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রো রেলকে বারাকপুর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন টাকাও বরাদ্দ করেছিলেন। জিতলে এই মেট্রো প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবেন বলেও জানাচ্ছেন পার্থ। চাকরিপ্রার্থীদের বিনি পয়সায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এডুকেশনাল হাব তৈরি হবে বলেও জানান তিনি।
পাশাপাশি, জনৈক রেলযাত্রীর প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী জানান, দু’বছরের মধ্যেই ভাটপাড়া শান্ত হয়ে যাবে। গুন্ডাগিরি, দাদাগিরি থাকবে না। গুন্ডারাজ বন্ধ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। ২০১৯ সালে বারাকপুরে বিজেপি জেতার পর ছ’জনের মৃত্যু হয়েছিল, এক হাজার বাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, ঘরছাড়া হয়েছিলেন দু’হাজার মানুষ। কিন্তু ২০১১ থেকে বিধানসভায় জিতেছে তৃণমূল। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিন টিকিট কাউন্টার থেকে পাঁচ টাকা দিয়ে বারাকপুর পর্যন্ত টিকিট কাটেন পার্থ। গোটা এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম হাতজোড় করে ঘুরে বেড়ান। তারপর ট্রেনে উঠে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। ট্রেনের কামরায় যাত্রীদের কাছে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। বললেন, বহু দিন পরে ট্রেনে চড়লেন তিনি। কলেজ জীবনে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ‘ক্যাটার্সে’ বসে আড্ডা দিতেন, ওটাই তাঁদের কাছে কফিহাউস ছিল। এরপর নিজেই গেয়ে উঠলেন, “ক্যাটার্সের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই।” পার্থ ভৌমিক বলেন, তিনি সকাল থেকে রাত অবধি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু যাঁরা কাজের প্রয়োজনে কলকাতায় চলে যান, তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় না। তাঁদের সঙ্গে দেখা ট্রেনযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।