আগামীকাল, অর্থাৎ সোমবার থেকেই রাজ্যজুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিখুঁত প্রস্তুতির নির্দেশ আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিডিও থেকে জেলাশাসক পর্যন্ত পদাধিকারীদের ‘প্রস্তুতির পাঠ’ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সরকারি সূত্রের খবর, এবার একাধিক নতুন প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন নাগরিকেরা। তাতে ভিড়ও বেশি হবে। তাই শিবিরগুলির ব্যবস্থাপনায় ন্যূনতম ফাঁক রাখতে চাইছে না রাজ্য। প্রশাসনিক সূত্রের অনুমান, ছোট জেলাগুলির এক-একটি শিবিরে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ যোগাযোগ করতে পারেন। বড় জেলাগুলির ক্ষেত্রে ভিড় আরও বেশি হতে পারে। তাই কোভিড-আবহে ভিড় সামলানো থেকে আবেদনকারীদের সাহায্য করা, সব ক্ষেত্রেই পেশাদারিত্ব চাইছে নবান্ন।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে জেলাগুলির সঙ্গে বৈঠকে শিবির ব্যবস্থাপনায় কারা কেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন, ধরে-ধরে তা জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যসচিব। বিডিওদেরও মুখ্যসচিবের প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, বিডিওদের সরাসরি প্রশ্ন করছেন মুখ্যসচিব, এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না। তবে যেহেতু দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য, তাই এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। এবারের দুয়ারে সরকারে সবচেয়ে জোর থাকবে লক্ষ্মীর ভান্ডার, ছাত্র-ছাত্রীদের ঋণ কার্ড, নতুন কৃষকবন্ধু প্রকল্পের উপর। পাশাপাশি, একাধিক চালু প্রকল্পেও সমান গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, জেলাশাসক এবং পুলিশকে বাইরে থেকে আবেদনপত্র ছাপিয়ে উপভোক্তাদের উপর প্রভাব ফেলার অসাধু চেষ্টা ঠেকানোর কথা মুখ্যসচিব মনে করিয়ে দিয়েছেন। অসাধু কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে। তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তৎপর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একমাত্র দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে ইউনিক কোড-যুক্ত আবেদনপত্রকেই গ্রাহ্য করবে সরকার।