চারবার ডায়ালিসিস হয়ে গিয়েছে। তবু বুধবার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই কম মূত্র নিঃসরণ হয়েছে তাঁর। অভিনেতার বয়স এবং অন্যান্য কোমর্বিডিটির জন্য সুদূরপ্রসারী ডায়ালিসিস করা হচ্ছে না। ছোট ছোট অর্ধে তাঁর ডায়ালিসিস করেন চিকিৎসকরা। এবার কিডনির সমস্যার পাকাপাকি কোনও সমাধান খুঁজছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মেডিক্যাল টিম। বৃহস্পতিবার তা নিয়েই আলোচনায় বসবে নেফ্রোলজি বোর্ড।
গত ৬ অক্টোবর কোভিড নিয়ে অভিনেতা এসেছিলেন বেলভিউয়ে। করোনা আক্রান্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। প্লাজমা থেরাপির পর তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেইসঙ্গে চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে। করোনা নেগেটিভ হলেও তাঁর চেতনা এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। কোভিড এনসেফেলোপ্যাথিতে আক্রান্ত প্রবীণ অভিনেতার জিসিএস স্কেল এখনও ১০-এর কোঠায়। এদিন চিকিৎসক অরিন্দম কর জানিয়েছেন, করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ৮৫ বছর বয়স এবং কো-মর্বিডিটি থাকায় সৌমিত্রর শারীরিক পরিস্থিতি মাঝেমধ্যেই খারাপ হচ্ছে।
গতকাল রাতে বেলভিউ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সৌমিত্রবাবুর রক্তে হিমোগ্লোবিন ও অনুচক্রিকার মাত্রা তলানির দিকে। তাঁর ট্র্যাকিওস্টমি করার কথাও ভাবছেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। এদিন নতুন করে তাঁর দেহে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়নি। বাড়েনি ভেন্টিলেশনের মাত্রা।