সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে নিট কেলেঙ্কারির ভয়াবহ চিত্র। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় নেট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই আবহেই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসতে চলেছে। কিন্তু সার্বিক এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদ যেন শুরু হতে চলেছে সেমেস্টার দিয়ে। পর্যবেক্ষকদের মতে, সংসদে নিট ও নেট দুই পরীক্ষাতেই এবার বসতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
কংগ্রেস ও তৃণমূল সূত্রের খবর, আগে স্থির ছিল সংসদের প্রথম অধিবেশনে এক্সিট পোল ও শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, নিট ও নেট পরীক্ষার বিষয়টি দেশে সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি স্পর্শ করেছে। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের কথায়, ‘যে তরুণ প্রজন্মকে এতদিন নানা ললিপপ দেখিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করছিলেন মোদী, তাঁরাও বুঝে গেছে এই মানুষটা ধোঁকা ছাড়া কিছু দেননি।’ এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে বৈঠকে ডেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের অফিসারদেরও ডাকা হয়েছে বলে খবর।
অমিত শাহর বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সংসদের বৈঠক বসার আগেই জরুরি পদক্ষেপ করতে হবে। নিটের প্রশ্নপত্র বাতিলের অভিযোগ নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এখন ধরপাকড় শুরু হয়েছে। বস্তুত নিট কেলেঙ্কারির পর গতকাল রাতে তড়িতড়ি ইউজিসি-র নেট পরীক্ষাও বাতিল করেছে কেন্দ্র। কারণ, সেখানেও কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ মোদী জমানায় জাতীয় স্তরের পরীক্ষায় স্বচ্ছতার বিষয়টি নিয়েই বড় প্রশ্ন উঠে গেছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের পরামর্শ মতো নীতীশ কুমার সরকার তড়িঘড়ি প্রশ্ন পত্র ফাঁস নিয়ে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম তথা সিট গঠন করেছে। তদন্তের গতি বেড়েছে মোদী রাজ্য গুজরাতেও।