লকডাউনে বাড়ি ফিরতে গিয়ে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, সেই সম্পর্কে কোনও হিসেব নেই বলে সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্র। এবার লকডাউনে চাষের কত ক্ষতি হয়েছে, সেই নিয়েও নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দিতে পারল না মোদী সরকার।
সম্প্রতি কৃষি ক্ষেত্রের সংস্কারের জন্য জারি তিন অধ্যাদেশকে আইনের রূপ দিতে সংসদে তিনটি বিল এনেছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিপুল সংখ্যক কৃষক যখন পথে নেমেছেন, তখন সংসদেও কৃষি সংক্রান্ত আলোচনায় কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্র। কোভিডের কামড় এবং লকডাউনের জেরে চাষি এবং কৃষি ক্ষেত্রের কতখানি লোকসান হয়েছে, তার হিসেব চেয়ে লিখিত প্রশ্ন করা হয়েছিল কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনায় কৃষকদের আয় কতটা ধাক্কা খেয়েছে, তার হিসেব সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট তাঁদের কাছে নেই। বিরোধীদের প্রশ্ন, যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’, তাদের কাছে করোনায় চাষিদের রোজগার মার খাওয়ার হিসেব নেই কেন?
অত্যাবশ্যক পণ্য(সংশোধনী) বিল সংক্রান্ত আলোচনায় বিরোধীদের পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকারকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন একাধিক শরিক দলের সাংসদও। শেষমেশ বিল পাশ হলেও আগাগোড়া অভিযোগ উঠেছে, তার মাধ্যমে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করার। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তৃণমূলের সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী শিবিরের অভিযোগ – এই সংশোধনীর মাধ্যমে খাদ্যপণ্যের মতো অত্যাবশ্যক সামগ্রী যথেচ্ছ মজুত করার রাস্তা খুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র। যাতে সেই সুযোগে সস্তায় বিপুল পরিমাণে আনাজ, ফল ইত্যাদি কিনে তা নিজেদের কোল্ড স্টোরেজে মজুত করে রাখতে পারে রিলায়্যান্স, আদানির মতো বড় গোষ্ঠী। এবং পরে চড়া দামে বেচে মোটা মুনাফা করতে পারে তারা। এই সংশোধনী ঠেকাতে তাঁরা আদালতের যাবেন বলে জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ।