জার্মানি, স্পেন, ইংল্যান্ডের মতো জয় ইউরো কাপ অভিযান শুরু করল ফ্রান্সও। তবে কষ্ট করেই জিততে হল তাদের। অস্ট্রিয়ার আত্মঘাতী গোলে কোনও মতে ১-০ ব্যবধানে জিতল তারা। এদিন প্রথম থেকে বল ধরে রেখে আক্রমণে এগোচ্ছিল ফ্রান্স। পিছন থেকে শুরু হচ্ছিল তাদের আক্রমণ। ক্রমাগত চাপের মুখে অস্ট্রিয়া রক্ষণ মজবুত রেখেছিল। দু’দলের লড়াই হচ্ছিল মাঝমাঠেও। শুরুর দিকে ফ্রান্স দু’একটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। সেখানে অস্ট্রিয়া সুযোগ পেলেও ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করে যাচ্ছিল। ফ্রান্সের খেলার মধ্যে সেই ছন্দটা ছিল না। তবু প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৪৫ মিনিটের মধ্যে এক বারই ছন্দপতন হয় অস্ট্রিয়ার। ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠেছিল ফ্রান্স। বিপক্ষের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে বল ভাসিয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু কোনও সতীর্থ তাঁর নাগাল পাননি। তবে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন ম্যাক্সিমিলিয়ান উবের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আহত হন গ্রিজম্যান। বিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে ছিলেন। বল কাড়াকাড়ি করতে গিয়ে গ্রিজম্যানকে মাঠের ধারে সাইনবোর্ডের দিকে ঠেলে দেন উবের। সাইনবোর্ডে ধাক্কা খেয়ে রক্তপাত হয় গ্রিজম্যানের। মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে কিছু ক্ষণ পরেই মাঠে ফেরেন তিনি।
এরপর ৫৫ মিনিটে দিনের গোলের সুযোগ ফস্কান এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে এমবাপেকে পাস দেন রাবিয়ঁ। একাই বল টেনে বক্সে পৌঁছে যান এমবাপে। সামনে একা গোলকিপার ছিলেন। গোলের ডান দিকে শট রাখতে গিয়ে বাইরে মেরে বসেন এমবাপে। নিজেও তার পর তা বিশ্বাস করতে পারেননি। হতাশায় ডাগআউটে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। এর পরে বেশ কিছু ক্ষণ একটানা আক্রমণ করে যায় ফ্রান্স। কিন্তু গোল করতে পারেনি। ৮৫ মিনিটের মাথায় অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার ডানসোর সঙ্গে সংঘর্ষে নাক ফাটে এমবাপের। রক্তে ভিজে যায় তাঁর মুখ এবং জার্সি। খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। এরপর এমবাপেকে তুলে নেন কোচ। শেষ দিকে আর কোনও গোল হয়নি। ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।