শুরু হয়ে গেছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে প্রথম দফার ভোট। জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। । শুক্রবার সোনামুখীর ডিহিপাড়ায় ভাঙন কবলিত এলাকায় ভোট প্রচার করলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা। প্রচারে কোতলপুরের নদী বাঁধ ইস্যুকেই হাতিয়ার করছেন শ্যামল।
শ্যামলবাবু বলেন, “বিধায়ক হিসেবে আমি কোতুলপুরে দ্বারকেশ্বরে ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রায় আট কিলোমিটার পাড় বাঁধিয়েছি। জয়পুর ও কোতুলপুর থানা এলাকায় নতুন বাঁধানো পাড়ে রাস্তা সহ সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। তার সুফল মানুষ পাচ্ছেন। আমি সংসদে নির্বাচিত হলে দামোদরেও ভাঙন কবলিত এলাকায় একইভাবে উল্লেখযোগ্য কাজ করতে চাই। ডিহিপাড়ায় ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের কাছে গিয়ে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি”।
সোনামুখীর ডিহিপাড়া এলাকায় প্রচারে এসে দামোদরের ভাঙন রোধের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কোতুলপুরের উদাহরণ তুলে ধরছেন তিনি। বাড়ি বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে তিনি মিছিল করেন। সেখানেই তিনি দামোদরের ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তিনি যে শুধু প্রতিশ্রুতি দেন না, কাজ করে দেখান। সেই বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে তিনি বিধায়ক হিসেবে কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় দ্বারকেশ্বরে পাড় বাঁধানোর সাফল্য বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরেন।
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সোনামুখীর ডিহিপাড়া, রাধামোহনপুর ও পূর্ব নবাসন এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা বরাবরই ভাঙন কবলিত। দামোদরে ভাঙনে ফি বছর এলাকায় বহু চাষের জমি নদের গর্ভে চলে যায়। সেইসঙ্গে বহু এলাকায় বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় প্লাবন সৃষ্টি হয়। তাতে প্রতিবছর বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। চার ফসলি জমিতে বালি জমে চাষের অযোগ্য হয়ে ওঠে। বর্ষার পর চাষিরা সেই বালি পরিশ্রম করে সরিয়ে চাষযোগ্য করে তুললেও পরের বছর আবার তা বালিতে ভরাট হয়ে যায়।
এই সমস্যাকে সামনে রেখেই প্রচার করছেন শ্যামল বাবু। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের অভাব ও অভিযোগের কথা শোনেন। এবং তা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। শুধু প্রতিশ্রুতিই নয়, তিনি যে কাজ করে দেখান তা বোঝাতে বাসিন্দাদের কাছে কোতুলপুরের উদাহরণ তুলে ধরেন। কোতুলপুরে দ্বারকেশ্বরের ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রায় আট কিলোমিটার পাড় বাঁধানো হয়েছে। তার সুফল স্থানীয় বাসিন্দারা পাচ্ছেন। সেকথা প্রচারে তুলে ধরেন। একইভাবে তিনি দামোদরেও ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
শ্যামলবাবু ডিহিপাড়া ছাড়াও সোনামুখী শহরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন। এদিন তাঁর সঙ্গে প্রচারে উপস্থিত ছিলেন রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি, সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান তথা দলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়।