গতকাল কোন্ননগরে শকুন্তলা কালীবাড়ি, মাহেশে জগন্নাথ দেবের মাহেশে জগন্নাথ মন্দির এবং চাপদানির তেঁতুলতলায় জগদ্ধাত্রী মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের গত দু’বারের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে তিনি।
চুঁচুড়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসার আগে ভোর সাড়ে ৬ টা নাগাদ কালীঘাটে পুজো দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাড়ে ৭ টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরে এসে পুজো দেন। তারপর বালিখালের কাছ থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে র্যালি শুরু করেন। সাড়ে ৮ টা নাগাদ কোন্নগরে শকুন্তলা কালী মন্দির ও ১০ টা নাগাদ মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন। সবশেষে ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে র্যালি শেষ করেন। বালিখাল থেকে ভদ্রেশ্বর পর্যন্ত এদিনের র্যালিতে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রায় ২০০ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসকের অফিসে হাজির হন। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে যে কয়েকটা দিন হাতে পাব, তাতে আরও বেশি মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করব। মানুষের কাছে প্রার্থী নিজে হাজির হতে পারলে মানুষ খুশি হন। শুধু তাই নয় নিচুতলার জনপ্রতিনিধিরা কী কাজ করছেন তা চাক্ষুষ করা যায়।এই কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় যে শুধু নিশ্চিত তা নয় গতবারের থেকে এবার মার্জিনও অনেকটাই বাড়বে। আমাদের অনুমান শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয় নম্বরে থাকবে সিপিএমই। কারণ এই লোকসভা কেন্দ্রের কোনও জায়গাতেই বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। তাই জয় তো দূরের কথা দ্বিতীয় স্থানেও আসতে পারবে না”।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী তপন দাসগুপ্ত, তিন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, স্বাতী খন্দকার, স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং তাঁর চিফ ইলেকশান এজেন্ট দিলীপ যাদব। আর তাঁর যাত্রাপথে সঙ্গী হয়েছিলেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, ডঃ সুদীপ্ত রায়, এবং বহু দলীয় নেতা এবং কর্মীরা।