হাতে খুব বেশি সময় নেই প্রচারের জন্য। তাই এই চৈত্রের শেষবেলার রোদ্দুর মাথায় নিয়েই প্রচারে নেমেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পেশায় চিকিৎসক মমতাজ সঙ্ঘমিত্রা। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্ননয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে দ্বিতীয়বার সাংসদ হওয়ার লক্ষ্যে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের এলাকায় জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। গতবার লোকসভা ভোটে মমতাজ হারিয়ে দেন সিপিএমের সাইদুল হককে। এবার সিপিএম ভোটের মাঠে আনকোরা মুখ আভাস রায়চৌধুরিকে টিকিট দিয়েছে। তাই আভাসের থেকে সব দিক থেকেই অনেক এগিয়ে আছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ।
মমতাজ নিজে চিকিৎসক বলে তাঁর তহবিলের অর্থ খরচের সময় স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। বরাদ্দ করেছেন প্রায় ২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। শুধু অ্যাম্বুল্যান্সের জন্যই দিয়েছেন ৬৩ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে বর্ধমান ও দুর্গাপুরে রয়েছে দুটি ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স। তাই প্রার্থী হিসেবে মমতাজকে নিয়ে সকল মানুষ বেশ উচ্ছসিত। বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের মতো যেমন ঝাঁ-চকচকে শহর আছে ঠিক তেমন মন্তেশ্বর বা কাঁকসা ব্লকের বহু কৃষি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে। তাই ভোট প্রচারে শহর–গ্রামের প্রত্যাশাকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল গুলোকে ঘুঁটি সাজাতে হচ্ছে। মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে একতা মঞ্চ লাগোয়া চত্বরে দাঁড়িয়ে মমতাজ বলছিলেন, “এবারে তৃণমূল প্রার্থীদের সুবিধে হল, গত কয়েক বছরে মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলা জুড়ে উন্নয়নের যে বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, সেই রেকর্ডটা মানুষের সামনে তুলে ধরলেই প্রচারের সিংহভাগ কাজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ উন্নয়ন চোখে দেখা যায়, উপলব্ধি করা যায়। মানুষ সব জানে। বোঝেও। তাই আমাদের নতুন করে কাউকে বোঝাতে হচ্ছে না। যেখানেই যাচ্ছি, ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষের চোখের ভাষাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, এখানে তারা মুখ্যমন্ত্রীকে কতটা ভালবাসেন”।