গতকাল ছিল মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। পূর্বঘোষণা মত আজ পাণ্ডবেশ্বর, লাউদোহা এবং রানিগঞ্জে সুচিত্রা সেনের জন্মদিন পালন করা হবে, গ্রামে গ্রামে কেক কাটা হবে। সন্ধ্যায় লাউদোহার একটি হলে সপ্তপদী সিনেমা দেখানো হবে। গতকাল মুনমুন প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন জামুড়িয়ার চারটি এলাকায় নিংঘা, কেন্দা, বীজপুর এবং নন্ডি গ্রামে। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বললেন, “আমার মায়ের আত্মার শান্তি কামনার জন্যে আমাকে ভোট দিন”।
মুনমুন বললেন, ‘আজ আমার মায়ের জন্মদিন। আজ আপনারা আমাকে খুশি করে দিন। আমার মায়ের আত্মার শান্তির জন্য তার মেয়ে এসেছে আপনাদের কাছে তার নাম রাখার জন্য। মমতা ব্যানার্জির নাম রাখার জন্য। কথা দাও তোমরা তা রাখবে। মাকে আজ প্রণাম করে আসতে ভুলে গেছি। কিন্তু আপনাদের প্রণাম করলাম, সেটাই অনেক।’
সভামঞ্চে ‘আচ্ছে দিনের’ প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে তোপ দাগলেন মুনমুন। শুক্রবার তিনি জামুড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় কর্মীসভা করেন। মুনমুনদেবী বলেন, “আচ্ছে দিন আসেনি। বিজেপির আমলে এই এলাকার কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ওরা সবাইকে চাকরি দেবে বলেছিল। কিন্তু, কেউ চাকরি পাননি। শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।”
মুনমুন আরও জানান, “সিপিএম কিছু করেনি। ৩৪ বছরে বাংলাকে শেষ করে দিয়েছে। সিপিএম পার্টির কাছে সবচেয়ে বেশি টাকা আছে। ওরা বড় লোক পার্টি। এতদিনে এখানে জলের সমস্যা মিটে যাওয়া উচিত ছিল। তা হয়নি। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর আর কোনও কাজ এখানে হয়নি। সেকথা মাথায় রেখেই এদিন তিনি সিপিএম এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন। মুনমুনদেবী বলেন, আজ আমার মায়ের জন্মদিন। এই দিনে আপনারা বলুন তৃণমূলকেই ভোট দেবেন। আমার মায়ের আত্মার শান্তির জন্য ভোট দেবেন। আমার টাকা দরকার নেই। আমার মা টাকা রেখে গিয়েছেন। স্বামীরও টাকা আছে। যা টাকা পাব, সবটাই এলাকার উন্নয়নের জন্য খরচ করব।” গতকাল তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন দলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু, দলের নেতা সাধন রায়, মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।