রাজনীতির আঙিনায় সদ্য পা দিলেও ভয় পাচ্ছেন না বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহান। বরং দিব্যি হাসিমুখে সামলাচ্ছেন সব কিছু। ইতিমধ্যেই মধ্যমগ্রামে গিয়ে পরিচিত হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে। দোলযাত্রার পর কর্মীসভার মধ্য দিয়েই আগামী ২৩ মার্চ থেকে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচারে নামছেন বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
সুন্দরবন অঞ্চল সন্দেশখালি থেকে তিনি সভা শুরু করবেন। একইদিনে বসিরহাট লোকসভা অন্তর্গত পৃথক চারটি জায়গায় কর্মীসভা করবেন তিনি। পরদিন অর্থাৎ ২৪ মার্চ আরও চারটি জায়গায় কর্মীসভা করবেন। গোটা লোকসভা কেন্দ্র চষে বেড়ানোর জন্য দু’দিনের মধ্যে তাঁর আটটি সভা রাখা হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, তাঁকে দেখার জন্য দলের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়বেই। তাই কর্মীসভা জনসভারই রূপ নেবে।
সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, বাদুড়িয়া, বসিরহাট উত্তর এবং বসিরহাট দক্ষিণ মিলিয়ে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মোট সাতটি বিধানসভা রয়েছে। এই সাতটি বিধানসভার জন্য সাতটি সভা করবেন তিনি। যেহেতু হাড়োয়া বিধানসভা একটু বড় তাই ওই বিধানসভার জন্য দু’টি কর্মীসভা ঠিক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৩ ও ২৪ মার্চ আটটি কর্মীসভা করার কথা ঠিক হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ মার্চ সকাল ১০টা নাগাদ তিনি প্রথম সন্দেশখালিতে সভা করবেন। তারপর বেলা ১টা নাগাদ যাবেন মিনাখাঁয়। সেখানে সভা করে বিকাল ৩টে নাগাদ হাড়োয়ায় সভা করবেন। বিকাল ৫টা নাগাদ শাসনে সভা করে ওইদিনের মতো কর্মসূচি শেষ করবেন তিনি।
পরদিন অর্থাৎ ২৪ মার্চ সকাল ১১টা নাগাদ ফের এই জেলার সুন্দরবন অঞ্চল হিঙ্গলগঞ্জ থেকে কর্মীসভা শুরু করবেন। দুপুর ২ টো নাগাদ সেখান থেকে বাদুড়িয়া গিয়ে কর্মীসভা করবেন। তারপর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বসিরহাট উত্তরে কর্মীসভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছেন। সেখান থেকে বিকালে ৫টা নাগাদ তিনি বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভায় সভা সেরে ওইদিনের কর্মসূচি করবেন। তাঁর সঙ্গে দলের জেলা নেতা এবং ওই আটটি বিধানসভার নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ২৩ ও ২৪ মার্চ আটটি কর্মীসভা করবেন নুসরত। আমরা জানি ভিড়ের চাপে তা জনসভায় পরিণত হবে। ওই কর্মিসভা করার পর তিনি প্রচারের পরবর্তী কর্মসূচিগুলিতে নামবেন।
১২ মার্চ প্রার্থী ঘোষণার পরই সঙ্গে সঙ্গে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নুসরত জাহানের সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে যায়। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, তাঁকে নিয়ে দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তুঙ্গে রয়েছে। প্রার্থী হওয়ার পর গত ১৪ মার্চ তিনি প্রথম মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে এসেছিলেন। ওইদিন বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত নেতাদের নিয়ে একটি নির্বাচনী বৈঠকও করেছিলেন। ওইদিন তাঁকে দেখার জন্য পার্টি অফিসের ঢোকার মুখেই ভিড় জমে গিয়েছিল। এবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রতিটি এলাকায় গিয়ে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করবেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে দলীয় নেতৃত্ব এই কর্মীসভার খসড়াও প্রস্তুত করেছেন।