লাভপুরে বিজেপি নেতার মেয়েকে অপহরণের ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের ওই নেতা সুপ্রভাত বটব্যালকেই গ্রেফতার করল পুলিশ।
তিনদিনের মধ্যে অন্তর্ধান রহস্যের কিনারার পর যে ঘটনা সামনে এল, তাতে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার জোগাড়। পুলিশ জানিয়েছে, এই অপহরণের ঘটনা পুর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো। রীতিমতো পরিকল্পনা করে মেয়েকে অপহরণ করা হয়। এই অপহরণের পিছনে রাজনীতির গন্ধ রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ তদন্তে নেমে ডালখোলা থেকে ‘অপহৃত’ তরুণীকে উদ্ধার করে। ডালখোলা থেকেই গ্রেফতার করা হয় দুই যুবককে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত দুই যুবক অপহৃতা মহিলার বাবার পূর্ব পরিচিত। মহিলার বাবা এলাকার বিজেপি নেতা। বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যাল দুই পরিচিতের সঙ্গে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটান বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
জানা গেছে, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই ‘অপহৃত’ তরুণীর বাবা এই পরিকল্পনা করেন। দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির বাসিন্দা দুই যুবককে দিয়ে পরিকল্পনা করিয়ে এই ‘অপহরণ’ সংঘটিত করা হয়। পুলিশ তদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পেরেছে, ঘটনার আগের দিন দুই যুবকের সঙ্গে কথা হয় সুপ্রভাত বটব্যালের। পুলিশের দাবি, তখনই পরিকল্পনা কষা হয় অপহরণের। ওই দুই যুবক পরিকল্পনা মতোই কপালে বন্দুক দেখিয়ে বিজেপি নেতার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর দুই যুবক ওই মহিলাকে নিয়ে চলে যায় সোজা ডালখোলা। অপহৃতা বিজেপি নেতার মেয়ে এই পরিকল্পনার বিষয়টি জানতেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে তরুণী তাঁকে নিয়ে যেতে সে অর্থে কোনও বাধা দেয়নি বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। সুপ্রভাতের উপর মামলার চাপ ছিল, সেই চাপ কাটাতেই তিনি এই অপহরণের গল্প ফাঁদেন বলে পুলিশ মনে করছে। উদ্ধারের পর অপহৃতা তরুণী ট্রমাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন। ফলে তাঁকে জেরা করতে পারছে না পুলিশ। তাঁকে জেরা করলেই আরও অনেক সত্য সামনে আসবে বলম মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়। তারপর তিনদিন ভর জ্বলছিল লাভপুর। বিক্ষোভের মুখে পড়ে থানায় আশ্রয় নিতে হয় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামকেও।