শেষ মুহূর্তে ফিরে আসা শীতের আমেজ নিয়ে ঘুম ভাঙছে আমেরিকা থেকে বঙ্গবাসীর৷ মরশুমের প্রথম থেকেই ভেলকি দেখাচ্ছে শীত৷ কিন্তু চলে যাওয়ার আগে আবারও সবার হাড় কাঁপাচ্ছে শীত৷ বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তার জেরে হিমাচল প্রদেশ ও কাশ্মীরে নতুন করে তুষারপাত শুরুাহয়েছে। এমনকী পূর্ব ভারতের ওড়িশাতেও শৈত্যপ্রবাহের জেরে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে৷ এমনকী সুমেরু ঝঞ্ঝার বিস্ফোরণে তুষারের স্তুপের তলায় আমেরিকার মধ্যপশ্চিম এবং পূর্বাংশ। কয়েক ফুট পুরু তুষারের চাদরে চাপা পড়েছে উত্তরপূর্ব আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
কোথাও কোথাও পারদ হিমাঙ্কের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘণ্টায় প্রায় ৬৪ কিলোমিটার বেগে বইছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাই হিমাঙ্কের আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার পর্যন্ত ৩১৫টি বিমান বাতিল হয়েছে এবং ১১৩০টির সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৪০০০ উড়ান বাতিল। বিমান পরিষেবা সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত নিউ ইয়র্ক এবং নিউ ইংল্যান্ডে। এই আবহাওয়া আরও কয়েকদিন চলবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়াবিদদের।
অন্যদিকে বুধবার থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় নতুন করে তুষারপাত শুরু হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় শীতলতম স্থান দ্রাসের তাপমাত্রা বুধবার সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হিমাঙ্কের নীচে ছিল। আবহাওয়ার রীতি অনুযায়ী বুধবারই কাশ্মীরে চলতি মরশুমের ‘চিলাই-কালান’ (প্রবল শীতের মাস) শেষ হয়েছে। তবে শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন চলবে বলে জানা গিয়েছে।
কাশ্মীরের মতো হিমাচল প্রদেশেও শৈত্যপ্রবাহের জেরে শীতের চোয়াল বেশ শক্ত হয়েছে। রাজ্যের অন্যতম পর্যটনস্থল ডালহৌসি এবং কুফরিতে নতুন করে তুষারপাত শুরু হয়েছে। পর্যটকদের জন্য এটা বড় সুখবর। এছাড়া কল্পাতেও তুষারপাত হয়েছে। অন্যদিকে আদিবাসী জেলা লাহুল ও স্পিতিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে পৌঁছে গিয়েছে। সিমলায় বুধবার হাল্কা বৃষ্টিও পড়েছে। আগামী আরও কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ চলবে বলে আবহবিদরা জানিয়েছেন।