১৯৯৫-৯৬’এর দলীপ ট্রফি ছিল আর একটি গুরুত্বপূর্ণ টুরনামেন্ট অমল মজুমদারের জন্য৷ ঐবছর দলীপ ট্রফিতে লক্ষণ ৩৯৫ করে সর্ব্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হয়৷ এরপর সর্ব্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় যথাক্রমে দ্রাবিড়, মজুমদার ও গাঙ্গুলি যথাক্রমে তৃতীয় চতুর্থ ও ষষ্ঠ স্থান পায়৷ এইপারফরম্যান্সের সুযোগে দ্রাবিড় ও লক্ষণ ভারতীয় দলে সুযোগ পায়৷ কিন্তু চতুর্থ স্থান অধিকারী অমল মজুমদার এবারেও ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি৷ কিন্তু ষষ্ঠ স্থান অধিকারী সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় দলে সুযোগ পায় এবং গাঙ্গুলি তার জীবনের প্রথম দুটি টেষ্টে পর পর সেঞ্চরী করে নিজের জায়গাটি ভারতীয় দলে পাকা করে নেয়৷
এর পরের ইতিহাস সকলেরই জানা৷ পরবর্তী ১৪ -১৫ বছর শচীন ,দ্রাবিড় ,লক্ষণ ও গাঙ্গুলি ভারতের ক্রিকেটকে শাসন করতে থাকে এবং এই চার জনকে নিয়ে তৈরি হয় ভারতের ব্যাটিংলাইন আপ যা ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যাটিং লাইন আপ বলে পরিচিত আর অমল মজুমদারের পারফরম্যান্স দলীপ ট্রফি ও রঞ্জি ট্রফির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে যায়৷
অমল মজুমদার তার কেরিয়ারের শেষ দিকেএরপরেও মুম্বাই এরহয়ে দারুন পারফরম্যান্স দেখালেও কোনোদিন আর ভারতীয় দলে খেলার ডাক পায়নি৷ অমল মজুমদার ভারতীয় ক্রিকেটে তাই “অমলকান্তি” হয়েই রয়ে গেলেন,তার “আর রোদ্দুর” হয়ে ভারতীয় দলের হয়ে খেলা অধরাই রয়ে গেল৷