নির্বাচনী আবহে নতুন করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি। সম্প্রতি সেখানে একের পর এক ‘স্টিং’ ভিডিওয় অভিযোগকারীরা দাবি করছেন, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করানো হয়েছে। সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। শুধু তাই নয়, টাকার বিনিময়ে ভুয়ো অভিযোগ করানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি ফাঁস হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের ভিডিও। যেখানে তাঁরাও কবুল করে নিচ্ছেন, থানা থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন— সর্বত্রই গিয়েছিলেন ‘ভুয়ো’ নির্যাতিতারা। যার ফলে বেজায় বিপাকে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এবার আন্দোলনের নামে সন্দেশখালিতে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করল তারা! তবে পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি খুব বেশি দূর গড়ায়নি।
প্রসঙ্গত, বিজেপির হিংসা ও দলীয় কর্মীদের নিগ্রহের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে সন্দেশখালিতে ধিক্কার মিছিল ও ধিক্কার সভার আয়োজন করে তৃণমূল। স্থানীয় কালীনগরের এই সভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিপুল সংখ্যায় মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এরই মধ্যে বহিরাগত মহিলাদের নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মারধর ঘটনায় বিজেপির চার কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতেই তাঁদের গ্রেফতার করে সন্দেশখালি থানা। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের মিনাখাঁ থানায় রাখা হয়েছে। সোমবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতরা হলেন, উৎপল মাইতি, সুপ্রকাশ মণ্ডল, অজিত সর্দার ও গীতা বর।