টালিগঞ্জের পর এবার দমদম। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধান ফের মেট্রোয় আগুন আতঙ্ক। তাও আবার দিনে ব্যস্ত সময়ে। বেলগাছিয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে কবি সুভাষগামী একটি মেট্রোয় রেকের তলা থেকে আগুনের ধোঁয়া বেরতে দেখা যায় এদিন সকালে। ধোঁয়ায় ইতিমধ্যেই ৩ যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে খবর।
জানা গেছে, এদিন সকালে দমদম স্টেশন ছেড়ে মেট্রোটি বেরিয়ে যাওয়ার কিছু পরই বিপত্তি ঘটে। সকাল ১০ টা ৫৪ মিনিট নাগাদ বেলগাছিয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে কবি সুভাষগামী ওই মেট্রোটির ৪ নম্বর কামরার তলা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন আতঙ্ক গ্রাস করে যাত্রীদের। তৎক্ষণাত দমদম স্টেশনের অদূরেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় মেট্রো রেকটিকে। তড়িঘড়ি যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে আনার কাজও শুরু হয়। তবে তার মধ্যেই ভিড়, ধোঁয়া, আতঙ্কে, হুড়োহুড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩ যাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একে দিনের ব্যস্ত সময়, তার উপর অফিস টাইম। তাই মেট্রোয় সেই সময় যাত্রীদের ভিড় ছিল যথেষ্ট। কিন্তু দমদম ছাড়ার পর বেলগাছিয়া স্টেশনের আগে সুড়ঙ্গে ঢোকার পরই কবি সুভাষগামী নন-এসি পুরনো মেট্রো রেকটির ৪ নম্বর কামরার নীচ থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। গোটা কামরা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩ যাত্রীও। এরপরই বেলগাছিয়া স্টেশনে মেট্রোটি থামলে ট্রেন থেকে বের করে আনা হয় সকলকে।
ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়া যাত্রীদের শুশ্রুষা চলছে। এর মধ্যে একজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল কবি সুভাষের দিকের মেট্রো চলাচল। নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, সব যাত্রীদের নামিয়ে আনার পর রেকটির পরীক্ষা করে সেটাকে ফের নোয়াপাড়া কারশেডে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে আজকের ঘটনার পর ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মেট্রো পরিষেবা নিয়েও। যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাহ্য করছে তারা, উঠছে এমন অভিযোগও।
উল্লেখ্য, এদিন মেট্রোর যে রেকে দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেটিও পুরনো নন-এসি রেক। অনেকদিন আগেই এই মেট্রো রেকগুলোর জীবনকাল অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত রেক না থাকায় পুরনো রেকগুলিকেই রক্ষণাবেক্ষণ করে যাত্রী পরিষেবার কাজে ব্যবহার করছে মেট্রো। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ময়দানে মেট্রোতেও একইভাবে আগুন লেগেছিল। সেক্ষেত্রেও রেকটি ছিল পুরনো। তাই এতবার দুর্ঘটনা ঘটার পরেও কেন বদলানো হচ্ছে না পুরনো রেকগুলি? প্রশ্ন তুলছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরাই।