চলতি বছরের ১ এপ্রিল রাজ্যের বিবাহযোগ্যা মেয়েদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন ‘রূপশ্রী প্রকল্প’। প্রধান উদ্দেশ্যে, ১৮ বছরের উর্ধে মেয়েদের বিয়েতে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করা। তবে পরিবারের আয় বছরে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে। গত ৮ মাসে এই প্রকল্পে ২৩০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ডঃ শশী পাঁজা বলেন, ‘২০ নভেম্বর পর্যন্ত ১,৩১,০৫৮ জন এই টাকার জন্য আবেদন করেছেন। এঁর মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ১,১২, ৯৭৪ টি আবেদনপত্রের। আর অনুমোদন পেয়েছে এজ লক্ষ ৯১৪ জন। বাতিল হয়েছে ৫৬৯৬ জনের আবেদন। ২৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪২ জন। খরচ হয়েছে ২৩০ কোটি ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা’।
এই বিষয়ে শশী পাঁজা আরও জানিয়েছেন, গ্রামাঞ্চলে বিডিও এবং শহরাঞ্চলে এসডিও-র কাছে ‘রূপশ্রী’র ফর্ম জমা দেওয়া যায়। বইয়ের ৩০ থেকে ৬০ দিন আগে করতে হয় আবেদন। সেক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র, পারিবারিক আয়, ঠিকানা সব উল্লেখ করতে হয়। যা পরীক্ষা করে দেখেন অফিসারেরা। বইয়ের পাঁচদিন আগে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়’।
সিপিএম বিধায়ক জাহানারা বেগ্ম অভিযোগ করেন, বর্ধমান জেলায় ৬০ বছরের বৃদ্ধাও এই প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন। উত্তরে মন্ত্রী হাসির ছলে বলেন, ‘যদি কোনও মহিলার প্রথম বইয়ে হয় তাহলে তিনি ৬০ বছরেও এই টাকা পেতে পারেন’।
এদিন জেলা ধরে ধরে বিধায়কদের প্রশ্নের প্রশ্নের উত্তর দেন শশী পাঁজা। কোন জেলায় কতজন রূপশ্রীর টাকা পেয়েছেন, তা তুলে ধরেন। কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো জানতে চান, স্বামী পরিত্যক্ত অনেক মহিলা আছেন, তাঁদের জন্য কিছু করা যায় কি? জবাবে শশী পাঁজা বলেন, ‘রূপশ্রী প্রকল্প তাঁদের জন্য নয়। তাঁদের জন্য সরকারের অন্যান্য অনেক কর্মসূচী আছে। সেখান থেকে তাঁরা সাহায্য পেতে পারেন’। তাঁর মতে, এই ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের আরও প্রচার দরকার, যাতে আরও বেশী সংখ্যক মেয়ে এই প্রকল্পে উপকৃত হতে পারেন।




