রাজ্যে রাম-বাম যে এখন এক হয়ে গিয়েছে, বারবারই এই দাবী করেছে তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিক সভায় এই অভিযোগ তুলেছেন। এবার যেন সেই অভিযোগই সত্য বলে প্রমাণ হল। আগামী ৩০ নভেম্বর দিল্লিতে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা মোদী বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে না সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ কৃষক সভার কোনও প্রতিনিধি। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিভিন্ন মহল থেকেই প্রশ্ন উঠছে, নামে মোদী বিরোধী সমাবেশ হলেও এভাবে কর্মসূচিতে যোগ না দিয়ে আদতে কি বিজেপি’রই সুবিধা করে দিতে তৎপর হয়েছে সিপিএম? তবে কি এই মোদী বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে স্রেফ লোক দেখানো? তবে এই প্রথম নয়। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময়ও বাংলায় হাত মেলাতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি-সিপিএমকে। আবার বিধানসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না জেনেও রাজস্থানের ২৮টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে তারা। যাতে ভোট কাটাকুটির জেরে শেষমেশ যার সুফল নিয়ে যেতে পারে বিজেপি।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ নভেম্বরের বিক্ষোভ সমাবেশকে মোদী বিরোধী প্রচারের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে তৎপর বামপন্থী দলের কৃষক সংগঠনগুলি। সেই সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, এনসিপি’র মতো দলগুলিকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে থাকায়, তিনি দীনেশ ত্রিবেদিকে পাঠাবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, যেখানে তৃণমূলও বামপন্থী কৃষকদের মোদী বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচীতে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে, সেখানে কেন থাকতে পারছেনা সিপিএম? এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে আলিমুদ্দিন। রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, বন্ধু রামকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিমুদ্দিনের বামেরা।