বজবজ কোমাগাটা মারু-কাণ্ডের স্মৃতিতে এবার গড়ে তোলা হচ্ছে মিউজিয়াম। এর আগেই রেল কর্তৃপক্ষ বজবজ স্টেশনের নাম পাল্টে ‘কোমাগাটা মারু’ রেখেছিল। এবার সেই স্মৃতিতে ১২০ বর্গফুট জায়গার ওপর তৈরি হচ্ছে ৩ তলা ভবন। আর সেখানে থাকবে দুষ্প্রাপ্য ছবি-সহ কোমাগাটা মারু মিউজিয়াম। শুধু মিউজিয়াম নয়, সঙ্গে অডিটোরিয়াম ও গেস্ট হাউসও গড়ে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াই লড়তে বাবা গুরুদিত সিং তাঁর ৩৭৬ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী সহযোগী মিলে ১৯১৪ সালে একটি জাপানি যুদ্ধজাহাজ কিনেছিলেন। সেই জাহাজ নিয়ে তাঁরা কানাডার বন্দরে যান। কিন্তু কানাডা সরকার সেখানে ওই জাহাজ ঢোকার অনুমতি দেননি। তখন গুরুদিত সিং ও তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন জায়গায় ভারতের স্বাধীনতার প্রচার করতে করতে কলকাতার কাছাকাছি বজবজ ঘাটে এসে ২৯ সেপ্টেম্বর জাহাজ নোঙর করেন। তারপর জাহাজ থেকে নেমে হাওড়ার দিকে মিছিল করে যান। তখন ইংরেজ সরকারের পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। আবার জাহাজে ফেরত পাঠায়। হঠাত নিরস্ত্র গুরদিত সিং ও তাঁর সহযোগীদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে ব্রিটিশ পুলিশ। জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার মতোই ব্রিটিশ সরকারের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৬৭ জন প্রাণ হারান। উত্তাল হয়ে ওঠে সারা ভারত। সেই শহীদদের স্মরণেই এই কোমাগাটা মারু শহীদ গঞ্জ তৈরি হয়।
সম্প্রতি কোমাগাটা মারু শহীদদের ১০৪ তম স্মৃতি দিবসে কোমাগাটা মারুর নামে মিউজিয়াম এবং অডিটোরিয়াম ভবনের শিলান্যাস করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই গড়ে উঠবে ভবন ও মিউজিয়াম।




