রাম-হনুমানের পর, এবার বলরাম-নাম! রামনবমী, জন্মাষ্টমী, হনুমান জয়ন্তীর পর বিজেপির জন্মজয়ন্তী পালনের ক্যালেন্ডারে যোগ হল ‘বলরাম জয়ন্তী’। পুরাণ মতে শ্রীকৃষ্ণের ভ্রাতা বলরাম গোটা উত্তর ভারতে কৃষকদের দেবতা হিসাবে পরিচিত। বাংলার কৃষকদের মন জয় করতে, এবার সেই বলরামের জন্মজয়ন্তী পালন করতে নেমেছে বিজেপি। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বলরাম জয়ন্তীর দিন জেলায় জেলায় বলরামের মূর্তি গড়ে পুজোর উদ্যোগ নিয়েছে দলের কৃষক সংগঠন কিষাণ মোর্চা। একইসঙ্গে বলরাম জয়ন্তী পালিত হবে কলকাতায় রাজ্য বিজেপির দফতরেও। যে পুজোর উদ্বোধন করবেন দলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শরৎ আসতেই বাঙালির মনে পুজোর বাদ্যি বেজে ওঠে। চলতি ভাদ্র মাসের মধ্যভাগে বিশ্বকর্মা পুজো দিয়ে যার শুরু। গত কয়েকবছর অবশ্য তার আগেই গণেশ পুজোর ধুম দেখা গিয়েছে বাংলার মাটিতে। এবছর গণেশ চতুর্থী আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর। তার চারদিন পর, ১৭ তারিখ রাজ্যে পালিত হবে শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো। আর এই দু’য়ের ঠিক মাঝেই রয়েছে বলরাম জয়ন্তী। জানা গেছে রাজ্যের প্রায় ১০০টি স্থানে বলরাম জয়ন্তী পালনের উদ্যোগ নিয়েছে মোদীর দল। কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি রামকৃষ্ণ পালের বক্তব্য, ‘পাঁজি দেখে ১৫ই সেপ্টেম্বর দিনটি বাছা হয়েছে। ওইদিন কৃষকদের দেবতা বলরামের জন্মদিন। মানুষ কোনও দেবতার পুজো করে সমস্যার সমাধানে। তাই রাজ্যের কৃষকদের সমস্যা যাতে দূর হয়, সেই প্রার্থনাই জানানো হবে বলরামের কাছে।’
বলরাম জয়ন্তী পালনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করলেও বিরোধী রাজনৈতিক মহলের মত অন্য। তাদের ব্যাখ্যা, লোকসভা ভোটের আগে ছলে বলে কৌশলে বাংলায় কৃষককুলের মন পেতে তৎপর মোদীর দল। এই কারণেই বলরাম পুজোকে হাতিয়ার করে কৃষকদের কাছে পৌঁছতে চাইছে তারা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকদের আন্দোলন দানা বেঁধেছে। সারা দেশেই কৃষকরা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে, সারা দেশেই কৃষকদের আস্থা অর্জনে মরিয়া মোদী। আসলে কৃষকদেরও ভোটব্যাঙ্ক হিসাবেই কাজে লাগাতে চায় বিজেপি।