বিমানবন্দর তৈরির পরে পরীক্ষামূলক ভাবে বায়ুসেনার বিমান নেমেছে সেখানে। সিকিমের পাকইয়ং বিমানবন্দরে নেমেছে বাণিজ্যিক বিমানও। পরীক্ষামূলকভাবে। তবে ৭০ আসনের বিমানটির সফল অবতরণের ফলে পুজোর আগেই আকাশপথে জুড়ে যেতে চলেছে কলকাতা এবং সিকিম।
সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে এই বিমানবন্দরটি। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বিমানবন্দরটি চালু হয়ে গেলে বেশ কিছু পর্যটক সোজা এখানে চলে আসতে পারবেন। বাগডোগরা বিমানবন্দর বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হয়ে আর আসতে হবে না।
৬০৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৭০০ মিটার দীর্ঘ ও ৩৩ মিটার চওড়া রানওয়ের পাকইয়ং বিমানবন্দর সেজে-গুজে তৈরি। পুজোর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বিমানবন্দর উদ্বোধন করার কথা। কলকাতা ছাড়াও পাকইয়ং বিমানবন্দর থেকে সরাসরি দিল্লী, মুম্বই এবং চেন্নাই যাওয়া যাবে।
বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য কম থাকায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। প্রথমে সেনাবাহিনী পরে অসামরিক বিমান নামার পর পরিষ্কার হয়ে যায় উত্তর সিকিমের পাকইয়ংয়ে বিমান ওঠা-নামার কোনও সমস্যা নেই। ৯ বছর আগে এই বিমানবন্দরের কাজ শুরু হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৪৬০০ ফুট। ইতিমধ্যে এয়ারপোর্টের পরিকাঠামো তৈরি। প্যাকেজ স্ক্যান মেশিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসে গিয়েছে। ফুডকোর্টও তৈরি। স্পাইসজেট ছাড়াও জেট এয়ারওয়েজ এবং ইন্ডিগো এই বিমানবন্দর দিয়ে উড়ান পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
সিকিমে আকাশপথে যেতে চাইলে এতদিন পর্যটকদের বাগডোগরায় নামতে হত। সেখানে থেকে সড়কপথে গ্যাংটকের দূরত্ব ১২৩ কিলোমিটার। গাড়িতে যেতে প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। পাকইয়ং থেকে গ্যাংটকের দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। এই বিমানবন্দর চালু হয়ে গেলে পর্যটকদের সময় অনেকটাই বাঁচবে। তাছাড়া দার্জিলিংয়ের সমস্যার সময় অবরোধের কারণে সিকিমে যেতে সমস্যায় পড়েছিলেন পর্যটকরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিকিমের পর্যটন। আকাশপথ চালু হলে পর্যটকদের আর এইধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। পাকইয়ং বিমানবন্দর চালু হলে বাগডোগরার ওপর ত্থেকে চাপ অনেকটা কমবে। পাশাপাশি চিনের উপর নজরদারি বাড়ানো সম্ভব হবে। কারণ সিকিমে সেনাবাহিনীর চপার নামার জন্য একাধিক হেলিপ্যাড থাকলেও বড় রসদের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর প্রয়োজন। পাকিয়ং চালু হলে সেই সমস্যা মিটবে। দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী। আকাশপথ চালু হলে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে বলে আশাবাদী সিকিম সরকার।