রাজ্যের নানা প্রান্তে মাথাচাড়া দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ উঠেছে বারবার। এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবার বাংলার সৃজনশীলদের নিয়ে নতুন সাংস্কৃতিক সেল গঠন করল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে এঁদেরই হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে অসহিষ্ণুতার আবহ তৈরির অভিযোগে সোচ্চার হবে তৃণমূল।
তৃণমূলের এই সাংস্কৃতিক সেলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। এছাড়া রয়েছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, শুভাপ্রসন্ন, জুন মালিয়া প্রমুখ। মূলত বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রোখাই হবে এই সেলের মূল কাজ। বিজেপি বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে সোচ্চার হবেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান সাধারন মানুষের কাছে তুলে ধ্রার পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের রুখতে পাল্টা প্রচার করবে এই সাংস্কৃতিক সেল।
২০০৬ সালে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় থেকেই তৃণমূলে সৃজনশীলদের ঢল। একে একে তত্কালীন বিরোধী দল তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বহু শিল্পী, লেখক ও সাহিত্যিক। অনেকে সরাসরি যোগদান না করলেও সোচ্চার হয়েছিলেন তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে। যার ফসল ঘরে তুলেছিল তৃণমূল। ২০১১ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় ব্রাত্য বসু-সহ বেশ কয়েকজন শিল্পী-সাহিত্যিকের। তার পর থেকে বরাবর সৃজনশীলদের গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের শিল্পী-সাহিত্যিকদের সংখ্যাগুরু অংশও তাঁকে কখনও নিরাশ করেনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই আরও একবার তৃণমূলের হয়ে মাঠে নামতে চলেছেন তাঁরা।
তৃণমূল ভবনে বৈঠক শেষে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, ‘যা পরিস্তিতি দাঁড়িয়েছে তাতে আর চুপ করে বসে থাকা সম্ভব নয়। সবাই একসঙ্গে পথে নামব।’ অভিনেতা তথা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, ‘যেখানে অপপ্রচার হবে সেখানেই আমরা পথে নামব।’