দুটি চিত্র। দুটি আলাদা রাজ্য। দুই আলাদা রাজ্যের মানুষ। আর তাঁদের দু’রকমের উপলব্ধি। তৃণমূলের প্রচার ভিডিওতে উঠে এল দুজন মানুষের মনের কথা। দেশে আচ্ছে দিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বিগত ৫ বছর ধরে শুধু ‘বিকাশ’-এর স্বপ্ন ফেরি করা ছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য আর কী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এবার তারই হিসাব চাইল তৃণমূল। দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেব দাও’— এই শিরোনামে আবারও একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা, পেশায় গাড়ি চালক রবি ত্রিবেদী মোদী জমানায় খুবই অসন্তুষ্ট। তিনি বলছেন, ‘মোদী সরকার যদি এরকমই চালিয়ে যায়, তবে আমাদের গাড়ি চালান বন্ধ করে শহরে গিয়ে কাজ খুঁজতে হবে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘পর্যটনের অবস্থা তো খারাপ করেই দিয়েছে এই সরকার। তার সঙ্গে রোজ পেট্রোল-ডিজেলের দামও বাড়িয়েই চলেছে। আর পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা তো ছেড়েই দিলাম। স্বচ্ছ ভারতও শুধু নামেই।’ এরপরই দেখা যাচ্ছে, ক্ষুব্ধ রবির প্রশ্ন, ‘কে দেবে এর হিসেব? প্রধানমন্ত্রী দেবেন এর হিসেব?’
অন্যদিকে, বাংলার গরুবাথানের হোটেলকর্মী সুব্রত রাজবংশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে যারপরনাই খুশি। তিনি বলছেন, ‘দম ফেলারই সময় নেই, হিসেব করব কখন? বিগত কয়েক বছরে পর্যটকদের ভিড় এতটাই বেড়েছে যে, এটা আমাদের কাছে খুবই ভাল ব্যাপার। তৃণমূল সরকারের অনুপ্রেরণায় সমস্ত রাস্তাঘাট, পরিবহন ব্যবস্থার অনেক উন্নতি ঘটেছে। চারদিক এখন এত সুন্দর আর পরিষ্কার যে নিজেদের দেশের ট্যুরিস্টই হোক বা বিদেশের, এখানেই আসতে চান সকলে। আসলে আমাদের বাংকা তো সুইটেস্ট পার্ট অফ ইন্ডিয়া। তাই তো বলি, দেশের প্রয়োজন দিদির মতো একজন।’ শুধু তাই নয়, ওই ভিডিওতে এ তথ্যও জানান হয় যে, ২০১৮ সালে প্রায় ৭.১ কোটি পর্যটক বাংলায় এসেছিলেন। যেখানে উত্তরপ্রদেশের রবি জানাচ্ছেন, সে রাজ্যে পর্যটন ব্যবসা শিকেয় উঠেছে। এবার গোটা দেশের কাছেই বাংলার এই অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে তৃণমূল জানতে চায় দেশের বিকাশের হিসেব। তারা বলছে, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসাব দাও’। ভিডিওর শেষে বাংলার উন্নয়ন এবং অধিকারের স্বার্থে, ধর্মনিরপেক্ষ-প্রগতিশীল সরকার গড়ার লক্ষ্যে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।