পুলওয়ামার বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ৷ এতজন জওয়ানের মৃত্যুতে কেঁদে উঠেছে সবাই৷ সন্তান হারানোর বিলাপ, স্বামীর কফিনেই স্ত্রী ভেঙে ফেলছেন হাতের শাঁখা এসব দৃশ্য সজোরে আঘাত করছে সবাইকে৷ সবাই স্বজন হারানোর শোকে সামিল হচ্ছে৷ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে গতকালই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোমবাতি মিছিল করেছেন৷ দেশের এমন এক শোকের আবহেই অত্যন্ত অমানবিকতার নিদর্শন দিল গেরুয়া শিবির৷ শহীদদের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে যখন কেউ চোখের জল আটকাতে পারছেন না, তখন সেই মুহূর্ত যেন বিজেপির আনন্দ উৎসব! তাই কেউ হাসছেন কেউ বা কফিনের সাথে সেলফি তুলছেন৷
জঙ্গী হামলার পর যখন শোকে ডুবে গোটা দেশ, তখন বেআক্কেলে আচরণ করে সমালোচনার মুখে বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ে শহিদ অজিত কুমারের শেষ যাত্রায় মরদেহবাহী শকটে দাঁড়িয়েই হাত নাড়তে দেখা গেল তাঁকে। তখন তাঁর গালে চওড়া হাসি। যেন খুব আনন্দের উৎসবে এসেছেন৷
জঙ্গী হামলায় নিহত হয়েছেন কেরলের বসন্ত কুমার। শনিবার তাঁর কফিন বন্দি দেহ নিয়ে যাওয়া হয় লক্কিরিতে গ্রামের বাড়িতে। সে সময় নিহত জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলফন্স কান্নানথানাম। নিহত বসন্তকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাঁর কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে দেখা যায় বিজেপির মন্ত্রীকে। শুধু সেলফি তুলেই ক্ষান্ত হননি৷ রীতিমত ফেসবুকে পোস্টও করেন সেই ছবি৷
বিজেপির নেতাদের এহেন নিন্দনীয় আচরণের তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁদের এই আচরণের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীও। এই ঘটনায় আবারও প্রমাণ হল বিজেপি শিবিরের কাছে মানুষের দাম নেই কোনও৷ প্রচার পাওয়াই মুখ্য৷ আবারও প্রমাণ হল ঠিক কতটা নির্দয় হলে ওই পরিস্থিতিতেও সেলফি তোলা কিংবা হাসির মানসিকতা রাখতে পারা যায়৷