বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের পর থেকেই উত্তরের চা-বলয়ের উন্নতিসাধনের জন্য বিশেষভাবে তৎপর হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। মমতার হাত ধরেই চা-বলয়ে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। চালু হয়েছে একের পর এক প্রকল্প। নিরসন হয়েছে বহু সমস্যার। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর আলিপুরদুয়ার সফরের আগেই সে জেলায় খুলে গেল ৩টি বন্ধ চা-বাগান। সোমবার রায়মাটাং, কালচিনি, তোসা, দলমোড়, এই ৩টি বাগান বিকেলের মধ্যেই খুলে যায়। এর ফলে ফের আগের মতোই কাজে ফিরতে চলেছেন কয়েকশো চা-শ্রমিক। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া বইছে শ্রমিক মহলে। উল্লেখ্য, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে খুলেছে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার সাইলি চা-বাগান। চা-বাগান নিয়ে রাজ্য সরকারের তৈরি নতুন এসওপির সুফল মিলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। নতুন নিয়মের ফলেই আরও তিনটি বন্ধ চা-বাগান খুলল। সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাঝেই খুলে যাবে আরও একটি বাগান। এর ফলে কাজ ফিরে পাচ্ছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি চা-শ্রমিক।

প্রসঙ্গত, প্রায় পাঁচমাস বন্ধ থাকার পর একই সঙ্গে খুলে গিয়েছে তোর্সা চা-বাগান। কালচিনি বাগানের প্রায় ২০০০ চা-শ্রমিক, তোর্সা চা-বাগানের ৬০০ ও সঙ্গে রায়মাটাং চা-বাগানের প্রায় সাড়ে ১২০০ শ্রমিক কাজ ফিরে পেতে চলেছেন। এছাড়াও।বীরপাড়া রকের দলমোড় বাগান খোলা নিয়ে সোমবারই বৈঠক হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ২২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী জেলায় উপস্থিত থাকবার দিনই খুলবে দলমোড় চা-বাগান। যেখানে কাজ ফিরে পাবেন প্রায় ১৩০০ চা-শ্রমিক। এরপর ফের কালচিনি ব্লকের বন্ধ দলসিং পাড়া চা-বাগান খোলা নিয়ে বৈঠকদের দিন ঠিক হয়েছে ২৭ জানুয়ারি। সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা-সহ তৃণমূল চা-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ মুখ্যমন্ত্রীকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। “আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই যে উনি চা-বাগানের শ্রমিকদের কথা ভেবে নতুন নিয়ম লাগু করেছেন। যার কারণেই বন্ধ বাগানগুলো খুলে গেল। জেলার চা-শ্রমিকরা আজ খুব খুশি। বাকি বন্ধ বাগানগুলোও দ্রুত খুলে যাবে”, জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক।




