মাছ বলতে কার্যত অজ্ঞান খাদ্যরসিক বাঙালি। তবে বাংলায় মাছ খাওয়া অনেকটাই আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছিল। তবে এবার পরিস্থিতি বদলেছে অনেকটাই। ফের সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে বাংলার মাছের ভাণ্ডার। ক্রমশ কমছে আমদানি নির্ভরতা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে, আমদানি কমেছে। এ রাজ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ লরি মাছ আসত। এখন সেই সংখ্যা ২০০-তে এসে ঠেকেছে। উলুবেড়িয়া কলেজ এবং স্টেট ফিশারি অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক জাতীয়স্তরের সেমিনারে এসে গতকাল এ কথা জানান রাজ্যের মৎসমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী।
এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য জলাশয়ের অবস্থান, আয়তন সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে অল্প সংখ্যক কিছু জলাশয়ে মাছচাষ হয়। বাকি জলাশয়গুলোকে কীভাবে মাছ চাষের কাজে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে রাজ্যের মৎস দফতর। মাছচাষের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে। মাছচাষে উৎসাহিত করতে রাজ্যের মৎস দফতর একাধিক পদক্ষেপও নিচ্ছে। কেউ মাছচাষকে জীবিকা রূপে গ্রহণ করতে চাইলে, তার জন্য জলাশয় এবং মাছচাষের ব্যবস্থা করে দেবে রাজ্য। করা হবে প্রশিক্ষণের বন্দোবস্তও।