শিক্ষাক্ষেত্রে ফের তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে রাজ্য। স্কুল ও উচ্চশিক্ষায় ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’-কে আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ৮ সদস্যের একটি ট্রাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মিত্রকে মাথায় রেখে এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এখানে রয়েছেন রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মিত্র, রাজ্য উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারপারসন কৌশিকী দাশগুপ্ত, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিরেক্টর স্কুল অফ ইনফর্মেশন সাইন্স নবারুণ ভট্টাচার্য, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান সোম দত্তা চক্রবর্তী, বঙ্গবাসী কলেজের কম্পিউটার সাইন্স এর অধ্যাপক সপ্তর্ষি গোস্বামী।
পাশাপাশি, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফের জারি করা নির্দেশিতায় বলা হয়েছে যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে রাজ্যের শিক্ষায় কিভাবে নিয়ে আসা যেতে পারে তার জন্য সুপারিশ দেবে এই কমিটি। স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা উভয় ক্ষেত্রে এর লাভ কী হতে পারে, তা নিয়েও সুপারিশ দেওয়া হবে। তার জন্য বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও কথা বলবে এই কমিটির সদস্যরা। ১৫ই মার্চের মধ্যে এই টাস্ক ফোর্স তাদের সুপারিশ দেবে বলেও নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্স রবিবার অর্থাৎ গতকালই একটি বৈঠকে বসে। মূলত রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বিভিন্ন উপাদানকে কীভাবে নিয়ে আসা যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।টাস্ক ফোর্স এর বিভিন্ন সদস্যদেরই তাদের মতামত তৈরি করতে বলা হয়েছে ওই বৈঠকে। শুধু তাই নয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কোন কোন উপাদান নিয়ে আসা হতে পারে তা নিয়েও কমিটিতে থাকা সদস্যদের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতেও বলা হয়েছে গতকালের বৈঠকে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত কোনো রাজ্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে শিক্ষাক্ষেত্রে সেভাবে নিয়ে আসেনি। যদিও বিদেশের একাধিক জায়গায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। সে দিক থেকে রাজ্য প্রযুক্তি শিক্ষায় আরো এগোতে চাইছে। তার জন্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। যা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।