দূর্নীতি নিয়ে কোনও তথ্য জানাতে নারাজ মোদী সরকার। সে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন হলেও। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে জমা হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে অস্বীকার করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ জমা পড়েছে, তা তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের ক্যাডার সঞ্জীব চর্তুবেদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ছদ্মনামে এবং বেনামে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে এই সংক্রান্ত ফাইল বিভিন্ন দপ্তরে ছড়ানো অবস্থায় আছে। সেসব এক জায়গায় করে তথ্য দিতে গেলে দফতরের কাজের বদলে কর্মীদের শুধু ওই কাজেই লাগাতে হবে। এছাড়া কোনটা দূর্নীতির অভিযোগ, তা বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়াটা জটিল এবং ব্যক্তিগত অভিমত সাপেক্ষ। তাই এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দূর্নীতির তথ্য এখনই জানানো যাবে না।
তথ্য জানাতে মোদী সরকারের অস্বীকার করার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে অমিত শাহের নিরাপত্তায় কত খরচ হয়, সেই তথ্যও জানাতে অস্বীকার করেছিল মোদী সরকার। বিষয়টি ব্যক্তিগত বলে সেবার এড়িয়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। আবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশ স্বত্বেও রাফাল বিমানের দাম জানাতে গড়িমসি করেছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবার মোদী সরকারের নেতাদের দুর্নীতির তথ্য জানাতে অস্বীকার করল তারা।