আসামে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত। সেখানে যে গতিতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা দলত্যাগ করছেন, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে শীঘ্রই ফাঁকা হতে চলেছে পদ্মদীঘি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বা এনআরসির বিরোধীতা করে গতকালও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন কংগ্রেসে।
বুধবার রাজ্যের বিশ্বনাথ জেলার ৩৫ জন বিজেপি নেতা যোগ দিলেন কংগ্রেসে। রাজ্য মন্ত্রিরসভার সদস্য রঞ্জিত দাসের কেন্দ্র এটি। এঁরা সকলেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকেই দলত্যাগের কারণ বলে জানিয়েছেন। এর আগে আরেক বিজেপি বিধায়ক দল থেকে ইস্তফা দেন। বিজেপির জোট শরিক অসম গণ পরিষদও (অগপ) জানিয়ে দিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করা না হলে জোট ছাড়বে তারা। এমনকি পঞ্চায়েতে বিজেপিকে হারাতে আলাদাভাবে ভোটেও লড়ছে তারা। ফলে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে চিন্তায় গেরুয়া শিবির।
আবার জঙ্গিগোষ্ঠী আলফার উত্থানে এই মুহূর্তে আসামের বাঙালিরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের আশঙ্কা, আটের দশকের মতোই ফের রক্তের নদী বইতে পারে আসামে। যার জন্য দাবি থাকবে এনআরসিই। ইতিমধ্যেই ৫ বাঙালি প্রাণ দিয়েছেন তিনসুকিয়ায়। আলফার নতুন করে শক্তি সঞ্চারের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সার্বিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া। তিনি বলেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাতেই আলফার শক্তি বাড়ছে। স্পর্শকাতর বিষয়টিকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন্দ্র।’
প্রসঙ্গত, ৫ ও ৯ ডিসেম্বর অসমের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এমন দলত্যাগের হিড়িক পড়ে যাওয়ায় এবং ঘরে-বাইরে দু’জায়গাতেই এনআরসি নিয়ে সমালোচিত হওয়ায় এই মুহূর্তে চরম বিপাকে মোদীর দল। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও বড় ধরনের ঝড়ের আভাস দিচ্ছেন সদস্যরা।