তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষকে খুনের পর দু’সপ্তাহের মধ্যে আবার এক তৃণমূল কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটল খয়রাশোলে। গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হল বছর ৩৪-এর তৃণমূল কর্মী শেখ আফজলউদ্দিন ওরফে লালবাবুকে।গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিপিএম পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মী আফজলউদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। গুলি লাগে তাঁর পেটের ডানদিকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এলাকার বাসিন্দারা ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সিপিএম পার্টি অফিস থেকেই আফজলউদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
দলীয় কর্মী লালবাবুকে গুলি করার ঘটনায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অভিযোগ, ‘সিপিএমের স্থানীয় পার্টি অফিস থেকে এদিন তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিছোঁড়া হয়। তাতেই গুরুতর জখম হয়েছেন আফজলউদ্দিন’। অবশ্য সিপিএমের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা সম্পাদক মানস হাঁসদা।
গত ২১শে অক্টোবর দ্বাদশীর দিন এই খয়রাশোল এলাকাতেই গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ। দুপুরবেলা মোটরবাইকে করে এক সঙ্গীকে নিয়ে গড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝরাস্তায় হিংলো নদীর ধারে নির্জন জায়গায় তিন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। খুব কাছ থেকে দীপকবাবুকে গুলি করার পাশাপাশি ছুরির কোপও মারা হয়। তবে অক্ষত ছিলেন তাঁর সঙ্গী। দীপকবাবুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় নাকরাকোন্দা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন খোদ জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এরপর আবার এক তৃণমূল কর্মীর ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। একের পর এক এমন রক্ত ঝরার ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন খয়রাশোলের সাধারণ মানুষ।