আসামে ৫ বাঙালিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। তারপর থেকে কেটে গেছে ২৪ ঘণ্টা। তৃণমূল যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কালা দিবস পালন করছে, রাজপথে নেমে প্রতিবাদ মিছিল করছে তখনও নীরব ছিলেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। এরপর ২৪ ঘণ্টা পর হঠাৎ করে টনক নড়েছে সিপিএমের। আসামে ৫ বাঙালি খুনের প্রতিবাদে সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়ে ধর্মতলায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে তারা।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে আসামের ঘটনাকে আঁকড়ে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে আলিমুদ্দিন। কিন্তু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটেনি তাঁদের। তাই প্রতিবাদ জানাতে এত দেরি করল সিপিএম। এসবের সঙ্গে আসামের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে আদৌ কংগ্রেসকে নিয়ে চলা হবে কি-না সেই নিয়েও সিপিএমের অন্দরে প্রবল দ্বিমত আছে। সূর্যকান্ত মিশ্র কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরার ব্যাপারে নিশ্চিত ঘোষণা করেছিলেন। এমনকী যেখানে বামেরা প্রার্থী দিতে পারবে না সেখানে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথাও বলেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। কিন্তু আরএসপি এবং ফব নেতারা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে নারাজ। তাই শরিকদের মনোভাব বুঝে নিতেও বেশ কিছুটা সময় কেটে গেছে সিপিএম নেতাদের। ফলে, আসামে বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে পথে নামতে এত দেরী হল সিপিএমের।
পথে নেমেও বিজেপি বিরোধিতা না করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতেই বেশী উৎসাহী ছিলেন সিপিএমের নেতারা। বাঙালিকে বাঙালি বলতেও লজ্জা তাঁদের। তাই ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে আসামের ঘটনার কড়া নিন্দা করে বিবৃতি জারি করেছে সিপিএম পলিটব্যুরো।