দুর্গাপুজোর ক’দিন যেভাবে পুলিশ সবটা সামাল দিয়েছে, তাতে খুশি রাজ্যবাসী। পুলিশের প্রশংসা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক একইভাবে কালীপুজোতেও সজাগ থাকবে কলকাতা পুলিশ।
এ বছর শহরে ৩২৬১টি পুজো হবে। এই উপলক্ষে একদিকে যেমন থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, তেমনি থাকবে সমস্যা সমাধানে বিশেষ বাহিনী। এর জন্য শহরের বেশ কয়েকটি থানাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
শুক্রবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের ৫২টি থানাকে চিহ্নিত করে সেগুলির জন্য রাখা হবে স্পেশ্যাল রিজার্ভ ফোর্স। ঠনঠনিয়া, লেক, কালীঘাট এবং করুণাময়ী কালীবাড়িতে সকাল থেকেই লোকে পুজো দিতে যান। ফলে এই জায়গাগুলিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এগুলি বাদে শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপেও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়া শহরের ২৬টি জায়গায় বিশেষ নিরাপত্তার আয়োজন করা হচ্ছে। কারণ, ওইসব জায়গার প্রতিমাকে বেশি গয়না পরানো হয়। এছাড়া ডিভিশন অনুযায়ী ৬১৮টি জায়গায় থাকবে পুলিশ পিকেট। ১১৪টি অটোরিকশায় চেপে টহল দেবে পুলিশ। মেট্রোতেও নজর রাখা হবে।
কালীপুজোর দিনে যেহেতু বাজি পোড়ানো হয়, সে কারণে বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপ এবং মন্দিরে থাকছে দমকলের ইঞ্জিন। পাশাপাশি ২৩টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ছাড়াও থাকবে ১৩টি বিশেষ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। সেইসঙ্গে থাকছে ২১টি ক্যুইক রেসপন্স টিম।
প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ৩৪টি ঘাটকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ২৯টি ঘাটে পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরা থাকবেন। প্রতিটি ঘাটে তৈরি থাকবে রিভার ট্র্যাফিক রেসকিউ টিম। নজর রাখা হবে সিসিটিভি–র মাধ্যমে। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার। বিসর্জনের সময় যাতে কোনও গোলমাল না হয় সে কারণে ২৫৫টি জায়গায় বিসর্জনের যাত্রাপথে পুলিশ পিকেট থাকছে। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ৭ নভেম্বর থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হবে। চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।