মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফরের সময় রাজ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে মন্ত্রী, সচিব ও পুলিশকর্তাদের নিয়ে তৈরি হল বিশেষ কমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য কাজ করবে তারা। জানা গেছে, রাজ্যের শিল্পে অগ্রগতির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর যাচ্ছেন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে যাবেন ইতালির মিলান শহরে। বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। ফিরবেন ২৮ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রীর সফর চলাকালীন রাজ্যে কোনও কিছু ঘটলে বা আপদকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্যের জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সব দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে এই কমিটি। প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তও নেবে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব গৌতম সান্যাল, মুখ্য সচিব মলয় দে, অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
জানা গেছে, ১১ জন মন্ত্রীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই কমিটি। আর এই কমিটির সাহায্যের জন্য থাকছে ১৫ জন সচিবের একটি দল। মন্ত্রীদের কমিটির চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। সদস্য হিসেবে আছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বাস্থ্য–রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় , কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান।
সচিবদের ১১ সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান হলেন সেচ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব নবীন প্রকাশ। কো–চেয়ারম্যান স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। বাকি সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রধান সচিব এ আর বর্ধন, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব, পরিবহণ দপ্তরের প্রধান সচিব ডি পি গোপালিকা, পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব রায়, শ্রম দপ্তরের প্রধান সচিব সুরেশ কুমার, বিপর্যয় মোকাবিলা দ্প্তরের প্রধান সচিব দুষ্মন্ত নারিয়াল, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রধান সচিব অনিল বর্মা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থ। এ ছাড়া পুলিসের পক্ষ থেকে এই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, ডিজি বীরেন্দ্র, এডিজি অনুজ শর্মা ও কলকাতা পুলিসের নগরপাল রাজীব কুমার।