কেসের সংখ্যা বাড়ছে৷ এদিকে আইনজীবীদের বসার জায়গা নেই। গাছতলায় বসতে হচ্ছে। এসব অসুবিধা মেটাতেই নিউটাউনে হাইকোর্টের নতুন ভবনের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক টাকায় এই জমি দিয়েছে হিডকো৷ শিলান্যাসের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আধ ঘণ্টার মধ্যে হাইকোর্টের জন্য জমি খুঁজে দিয়েছিলাম। বিচারপতিরা জায়গা পছন্দ করার কয়েক দিনের মধ্যেই ১০ একর জমি মাত্র এক টাকার বিনিময়ে হাইকোর্টের হাতে তুলে দিয়েছি।‘ ১০ একর জমিতে শীঘ্রই সীমানা-প্রাচীর লাগানোর জন্য হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন ও বিচার বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিচারপতিদের সংখ্যা না বাড়ালে মামলার সংখ্যা আরও বাড়বে৷ তাতে অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ মানুষ৷ কারণ মানুষ, অ্যাডভোকেট, কেসের সংখ্যা বাড়ছে৷ তাই নতুন পরিকাঠামো দরকার। রাজ্যের ছেলে-মেয়েরা আরও বেশি সংখ্যায় সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি শুরু করুক৷ হাইকোর্টের সঙ্গে সঙ্গে জেলা সাবডিভিশন, লোকাল আছে তার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে৷ কাজের পরিবেশ দরকার৷’
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এ দিনের অনুষ্ঠানে জানান, স্ট্র্যান্ড রোডের ধারে এসপ্লানেড রো ওয়েস্ট ঠিকানায় প্রাচীন হাইকোর্ট ভবনে জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। আদালত কক্ষ নেই। সব বিচারপতিকে আলাদা চেম্বার দেওয়া যাচ্ছে না। নথিপত্র সংরক্ষণে ব্যাঘাত ঘটছে। নথির ‘ডিজিটাইজেশন’-এর জায়গা মিলছে না। সর্বোপরি পুরনো ভবন এবং তার সংলগ্ন আরও দু’টি ভবনের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, হাইকোর্টের পাশে সব ট্রাইবুনাল আদালতও থাকা দরকার। পুরনো জায়গায় তা সম্ভব নয়। তাই হাইকোর্টের জন্য বড় জায়গা বরাদ্দ করতে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান প্রধান বিচারপতি।