অনেকেই বলেন, করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভিত হয়ে দাঁড়াতে পারেন অ্যাক্রিডিটেড সোশ্যাল হেলথ অ্যাক্টিভিস্ট অর্থাৎ আশাকর্মীরা। মহামারীর আবহে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করোনা রোগীদের শনাক্তকরণ তথা ‘কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং’য়ের জন্য আশারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন। অথচ, তাদেরই কাজ করতে হচ্ছে নামমাত্র বেতনে। যার প্রতিবাদে এবার সরব হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, এই সরকার এতদিন শুধু বোবা ছিল, এবার বধির এবং অন্ধও হয়ে গিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে আশাকর্মীদের প্রশংসা এর আগে একাধিকবার শোনা গিয়েছে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, লকডাউনের কয়েকমাসে শুধু বাংলাতেই ১৬ কোটি বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে এসেছেন আশাকর্মীরা। অর্থাৎ রাজ্যের ২ কোটি পরিবারে আটবার করে গিয়েছেন তাঁরা। বাংলার মতো অন্য রাজ্যগুলিতেও একইরকম পরিশ্রম করেছেন আশাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বিপদের দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সত্বেও কেন্দ্র সরকার তাঁদের প্রতি একেবারেই উদাসীন। একে তো নামমাত্র বেতনে কাজ করতে হচ্ছে, তার উপরে পিপিই, মাস্ক, কিছুই সরকার দিচ্ছে না। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ সত্বেও সরকার দাবি না মানায় এবার কর্মবিরতির পথে হেঁটেছেন তৃণমূল স্তরের এই স্বাস্থ্যকর্মীরা।
নিজেদের বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে শুক্রবার থেকে দু’দিনের প্রতীকী কর্মবিরতিতে বসেছেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৬ লক্ষ আশাকর্মী। তাঁদের দাবি পুরণের লক্ষ্যে এবার সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন রাহুল গান্ধীও। কংগ্রেস নেতা বলছেন, ‘আশা কর্মীরা দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াচ্ছেন। এরাই সত্যিকারের যোদ্ধা। অথচ আজ তাঁদেরই দাবি পুরণের জন্য কর্মবিরতিতে বসতে হচ্ছে। এই সরকার আগে থেকেই বোবা ছিল। এবার হয়তো অন্ধ এবং বধিরও হয়ে গিয়েছে।’