মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিজেপি নেতৃত্বের মনোভাব যে আদৌ মমতাময় নয়, দু’দিনের কর্মসমিতির বৈঠকে সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। নাগরিক পঞ্জি নিয়ে অমিত শাহ ফের মমতার নাম না করে বলেন, ‘কেউ কেউ নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতা করছেন, এটা নিন্দাজনক’।
বাংলার পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মোদী-শাহের সামনেই বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। বিজেপির ৩০ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে’। রাজ্যে সংগঠনের কাজের ‘বিস্তারক যোজনা’রও রিপোর্ট দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীও বাংলার মেজাজ বোঝাতে উল্লেখ করেন তাঁর মেদিনীপুরের সভার কথা। বলেন, ‘মেদিনীপুরে প্যান্ডেল ভেঙে পড়লেও মানুষ সরেননি। এতেই মানুষের মেজাজ বোঝা যাচ্ছে’। তিনি বুঝিয়ে দেন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়ে ক্ষুব্ধ। বিজেপির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তারা।
তবে মোদীর গলায় মমতা আসেন অন্যভাবে। তফসিলি জাতিদের ক্ষোভ সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের মোড়কে সকলকে শামিল করার কথা বলতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘মানবিকতার সঙ্গে উন্নয়ন করতে হবে। সমতা আনতে হবে মমতার সঙ্গে’। সভায় তখন হাসির রোল।
বিজেপির এক নেতা বলেন, গত কালই অমিত দাবি করেছেন বাংলায় দ্বিতীয় স্থানে আসার সুবাদে অনায়াসে প্রথম স্থান দখল করা সম্ভব। লোকসভা ভোট কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় হবে।বাংলায় এখনও সংগঠনের অনেকটা দুর্বলতা থাকলেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেখানে বিজেপির পতাকা ওড়াতে বদ্ধপরিকর। চলতি সপ্তাহে রাজ্য কমিটির বৈঠকে সংগঠনের নানা বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা হবে।