বিমান বসু বা সূর্যকান্ত মিশ্র নন। খোদ সীতারাম ইয়েচুরির সতর্কবার্তাকে উড়িয়ে দিয়ে নদিয়ার মাঝদিয়া-পানশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম-বিজেপি একজোট হয়ে বোর্ড গঠন করল। প্রধান হলেন সিপিএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী পবিত্র নন্দী। উপ প্রধান হলেন বিজেপির মদনমোহন দফাদার। বস্তুত, লাল-গেরুয়ার জোট। ১৯ আসন বিশিষ্ট মাঝদিয়া-পানশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ছটি আসন। বিরোধী বিজেপি ঝুলিতে গিয়েছিল ছটি আসন। আবার সিপিএম ও নির্দল প্রার্থীরা দুটি করে আসন পায়। সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি বোর্ড গঠনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সরাসরি সিপিএমের কাছে প্রস্তাব যায়। সেই প্রস্তাব কার্যত লুফে নেয় সিপিএম। মাত্র দুজন প্রার্থীকে নিয়ে বিজেপির সাহায্য নিয়ে বোর্ড গঠন করল সিপিএম। বোর্ড গঠনের বিষয়ে তৃণমূলের নবদ্বীপ ব্লক সভাপতি হরিদাস দেবনাথ বলেন,“এই রামধনু জোট যে হবে তা আমরা আগেই বলেছিলাম। তিনদিন আগে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব যা বলেছিলেন, সিপিএম তা করে দেখাল।” তবে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, “এটা মানুষের জোট। মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।” এরমধ্যেই যদিও জেলার হােগলবেড়িয়া বার্ণিয়ার পর কালীগঞ্জের পানিঘাটেও পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিরোধীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। প্রধান নির্বাচন স্থগিত রাখতে হয়। অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ আসে। পরে বিডিও নাজির হোসেন জানান, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রধান নির্বাচন স্থগিত রইল।” ১৯ আসন বিশিষ্ট পানিঘাটা পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৬, কংগ্রেস ৬ ,সিপিএম ৪ ও বিজেপি ৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল। তবে কংগ্রেস থেকে দু’জন এবং একজন সিপিএম সদস্য। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চিত্র বদলে যায় ।