মনমোহন সিংয়ের সরকার ৭৫ শতাংশ মানুষের খাদ্যের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ১০০ শতাংশ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে চান। তাই ‘সবার জন্য খাদ্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে খাদ্য আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় চালু করেছেন ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্প।
এদিন একটি টূইট বার্তায় ১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে প্রণাম জানান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ৯০ শতাংশ মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে বলে ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লক্ষ রাজ্যবাসীকে। তাঁদের দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড। প্রকল্প আওতাভুক্তদের মাথাপিছু ২ টাকা কেজি দরে মাসে ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম সরবরাহ করা হয়।
সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক, আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং জঙ্গলমহলের উপভোক্তারা বর্ধিত খাদ্য পাচ্ছেন। টোটো জনজাতিদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে। পুরুলিয়ার খরা-কবলিত ১২ লাখ আদিবাসী, ৩৩ লাখ জঙ্গলমহলবাসী এবং রাজ্যের সমস্ত আদিম উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে ৪৫০০ জন অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুকে চিহ্নিত করে তাদের বিনামূল্যে ১ বছরের জন্য চাল, গম, মসুর ডাল এবং ছোলা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যসাথী প্রকল্পের জন্য মোট খরচ হয়েছে ৪,২৮২ কোটি টাকা।