যারা ফ্যাশন এবং ফিল্মি দুনিয়ার নিয়মিত খবরাখবর রাখেন, তাঁরা জানেন বলিউড সেলিব্রিটিদের ‘এয়ারপোর্ট স্টাইল’-এর কথা। সোনম কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোনে, অনুষ্কা শর্মা, কঙ্গনা রানাউতদের মতো বলিউড তারকারা শুধু সিনেমায় বা আলো ঝলমল ইভেন্টে ফ্যাশনেবল হয়েই দেখা দেননা। বিমান ধরার তাড়াহুড়োর মাঝেও তাঁরা যথেষ্ট ফ্যাশন সচেতন। সুতরাং গত কয়েক বছর ধরে তারকাদের ‘এয়ারপোর্ট স্টাইল’ যে যথেষ্ট জনপ্রিয় একটা ফ্যাশন ট্রেন্ড তা আর বলে দিতে হবেনা।
কিন্তু এই ট্রেন্ড শুধু বলিউড তারকাদেরই একচেটিয়া হবে কেন? সামনেই যদি কোনও বিমান যাত্রা থাকে, তাহলে আপনিও কিন্তু এয়ারপোর্টে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট করে নজর কাড়তে পারেন। তবে ‘এয়ারপোর্ট স্টাইল’ করার আগে কয়েকটা কথা মাথায় রাখুন।
যেহেতু অনেকটা সময় আপনাকে বিমানের মধ্যে থাকতে হবে সেহেতু কমফর্ট ড্রেসিং-ই কিন্তু এই ফ্যাশন ট্রেন্ডের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব পায়। আবার আপনার গন্তব্য যদি দু-তিন ঘণ্টার বিমানযাত্রা হয়, তাহলে এক্সপেরিমেন্ট করতে আপত্তি কোথায়। বেশিরভাগ তারকাই এয়ারপোর্টে ওয়েস্টার্ন পোশাকেই বেশি স্বছন্দ। ডেনিম আর টি-শার্টেও তাঁরা দিব্যি গ্ল্যামারাস। ডিজাইনার টি-শার্ট বা টপ বেছে নেওয়া যেতে পারে। যদি রিপড ডেনিম পরতে স্বচ্ছন্দ হন তা-হলে তো কথাই নেই। ডেনিম টি-শার্টের বাইরে কিছু ট্রাই করতে চাইলে অপশন অঢেল। লং ড্রেস বা নি-লেন্থ ড্রেস বা স্কার্ট পরতে পারেন। জাম্পস্যুট ট্রাই করতে পারেন। আর মনে রাখবেন, এয়ারপোর্ট স্টাইলে জ্যাকেট সব সময়েই একটা কুল ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। ডেনিম, লেদার, বা ফ্যাব্রিকের জ্যাকেট পরতে পারেন। শর্ট বা লং যেকোনও ধরনের জ্যাকেট বেছে নিতে পারেন। জ্যাকেট যেকোনও পোশাকে একটা লেয়ারিং অ্যাড করে। আর বিমানের মধ্যে এমনিতেই বেশ ঠাণ্ডা থাকে। তাই জ্যাকেট ঠাণ্ডার হাত থেকেও রক্ষা করবে।
তবে শুধু ওয়েস্টার্ন পোশাক নয়, সেলেবদের কিন্তু মাঝেই মাঝেই এথনিক পোশাকেও দেখা যায়। কঙ্গনা রানাউত তো বেশ কয়েকবার শাড়িতে ‘এয়ারপোর্ট স্টাইল’ করে ফ্যাশন দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিলেন।
বলিউডের আরও এক অভিনেত্রী বিদ্যা বালা্নের এয়ারপোর্ট লুক বেশিরভাগ সময়েই সালোয়ার-কামিজ-কুর্তি-পালাজোর স্টাইল।
খেয়াল রাখতে হবে জুতোর দিকেও। কমফর্টেবল জুতোই পরুন। ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে তো স্নিকার্স বা বুটস পরতেই পারেন। এথনিক পোশাকের সঙ্গে মানানসই ফ্ল্যাট বা প্ল্যাটফর্ম হিলস পরতে পারেন। ওয়েজড হিল জুতোও মন্দ হবেনা।
সঙ্গে থাকুক বড়ো ডিজাইনার টোট ব্যাগ। আর দিনের বেলার এয়ারপোর্ট ফ্যাশন স্টেটমেন্টে একটা ফাটাফাটি রোদচশমা মাস্ট। সাহসী ফ্যাশনিস্তা হলে রাতচশমাও ট্রাই করতে পারেন। ব্যাস। এই দুটো অ্যাক্সেসরিই আপনার এয়ারপোর্ট স্টাইলের জন্য কাফি।
বাকি রইলো মেকআপ। মেকআপ যত কম হবে ততই ভালো। করিনা কাপুরকে তো এয়ারপোর্টে একবারেই নো-মেকআপ লুকে দেখা যায়। এমনকি ঠোঁটে লিপস্টিকের চিহ্নও থাকেনা।
তবে তাই বলে আপনি লিপস্টিক লাগাবেন না তা বলছিনা কিন্তু। নো মেকআপ লুকে ডার্ক শেডের লিপস্টিক ভাল মানায়। তাই লাল টুকটুকে লিপস্টিকে দিব্যি জমবে আপনার এয়ারপোর্ট ফ্যাশন স্টেটমেন্ট।