প্রতিবেদন: ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা এবং সোনমের বিয়ে হয় গত ১৯ মে। ২০ তারিখেই মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন রাজা রঘুবংশী এবং সোনম রঘুবংশী। ২৩ তারিখ থেকে আর তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।(Meghalaya Case) অনেক পরে রাজার দেহ উদ্ধার হলেও সোনম নিখোঁজই ছিলেন। সেই তিনিই এত দিন পর হঠাৎ নিজে থেকে ধরা দিলেন! সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি। এ বার সেই ঘটনার তদন্তেই উঠে এল নয়া সূত্র। প্রেমিকের জন্যই কি স্বামীকে খুনের ছক কষেছিলেন সোনম রঘুবংশী? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না।
Read More: চল্লিশেও বাজিমাত ‘তরুণ’ ক্রিশ্চিয়ানোর, ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে উয়েফা নেশনস লিগ চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল
মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগে ১৭ দিন পর গ্রেফতার হয়েছেন স্ত্রী সোনম।(Meghalaya Case) তদন্ত এগোতেই জানা যাচ্ছে, বিয়ের আগে থেকেই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সোনমের। মনে করা হচ্ছে, সে কারণেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করেছেন ওই তরুণী! পাশাপাশি সোনমকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের নাম। বিয়ের আগে রাজ নামে ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের।রাজার সঙ্গে বিয়ের পরেও দু’জনের যোগাযোগ ছিল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমিকের কারণেই স্বামীকে খুনের ছক কষেন সোনম। সে জন্য ভাড়াটে খুনিদেরও সাহায্য নেন ওই তরুণী। গত ২০ মে নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমায় যান। আগে থেকে সব পরিকল্পনা করাই ছিল। পূর্ব-পরিকল্পনা মাফিক ২৩ মে স্বামী রাজাকে খুন করান তিনি। তার পর গা-ঢাকা দেন নিজেও। ওই ঘটনার ১৭ দিন পর সোনম সোমবার সকালে আত্মসমর্পণ করেছেন।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1931991257133592914
সোনম ছাড়াও রাজা-হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে এক জন এবং ইনদওর থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। খবরটি নিশ্চিত করেন মেঘালয় পুলিশের ডিজি ইদাশিশা নোংরাং। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।




