প্রতিবেদন: দিঘার জগ্ননাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই বিরোধীদের কুৎসা চরমে উঠেছে। এমনকী পুরীর নিমকাঠ চুরি করে দিঘার জগন্নাথ মূর্তি বানানো হয়েছে, এহেন অভিযোগও তোলা হয়৷ তবে এই কুৎসায় জল ঢেলে আসল তথ্য সামনে আনলেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। তদন্ত করে আসল তথ্য সামনে আসতেই ‘কুৎসাকারী’দের পালটা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।(Mamata Banerjee)
Read More: কাশ্মীরে হামলার আগাম খবরেই সফর বাতিল! কেন পদক্ষেপ নেননি মোদী, প্রশ্ন খাড়গের
অভিযোগ উঠছিল, ২০১৫ সালের পুরীর জগন্নাথ মন্দির বিগ্রহের নব কলেবর করার পর যে উদবৃত্ত নিমকাঠ ছিল তা দিয়ে দিঘার মূর্তি তৈরি হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এরপরেই তদন্তের নির্দেশ দেয় ওড়িশা সরকার। অবশেষে সেই তদন্ত শেষে সেই অভিযোগকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন।
আসল তথ্য সামনে আসতেই পালটা জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বলেন, “আমাকে বলেছিল, আমি জগন্নাথ মন্দিরের কাঠ চুরি করেছি! কী মুখে ঝামা ঘষা হল তো! যারা বলেছিলেন চুরি করেছি তারাই বলছেন, না এখান থেকে নেয়নি!” মমতা আরও বলেন, “এত ভালো মন্দির করলাম তারপরেও কুৎসা। বলল চুরি করেছি। ভবিষ্যতে মানুষ কড়ায় গণ্ডায় এর জবাব দেবে।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1919744035398549782
তদন্তের পরে পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানান, “পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাড়তি কাঠ থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তি বানানো-এই ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হয়। মহারানা সেবক যে সমাজ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলার পর, এটা সামনে এসেছে, কাঠের যতটা অংশ বাকি রয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে কোনও মূর্তি বানানো অসম্ভব। ওখানকার দ্বৈতাপতি সমাজের সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই দ্বৈতাপতি সমাজের সেক্রেটারি যে তদন্ত করেছেন, তাঁরাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, যেটা বলা হয়েছিল, সেটা ভুলবশত হয়েছে।”




