কলকাতা: সেবাশ্রয় শিবিরে সাতগাছিয়াতে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্মলার বাজেটকে ভাঁওতা তকমা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আয়করে ছাড়ের প্রসঙ্গ এনে কেন্দ্রের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। বাংলার জন্য বাজেটে কী বরাদ্দ হয়েছে তা নিয়েও সমালোচনা করেন অভিষেক।
এদিন তিনি বাজেট নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নেন। তিনি উল্লেখ করে বলেন, কেন্দ্রের বাজেটে বলা হয়েছে, ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করলে, বছরে কোনও ইনকাম ট্যাক্স লাগবে না। বছরে ১২ লক্ষ টাকা আয় মানে, মাসে তাঁর বেতন ১ লক্ষ টাকা। যে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করে, তাঁকে তো জিনিসপত্র কিনতে হয়, তাঁকে চা খেতে দুধ-চিনি-চা পাতা সবই কিনতে হয়। জল ছাড়া সবেতেই জিএসটি। তাঁকে জিএসটি বাবদে ৯৮ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে ডেটা সোর্স লোকসভার স্পিকারের কাছে তিনি জমা দিয়েছেন বলেও জানান অভিষেক। এরপরও টোল ট্যাক্স, সিকিউরিটি ট্রানজাকশন ট্যাক্স রয়েছে, সার্চ চার্জ রয়েছে। মুদ্রাস্ফিতি যেভাবে বাড়ছে, বছরে ৬ শতাংশ করে বাড়লে, তিন বছরে ১৮ শতাংশ। এমনটাই হিসেব দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি বাংলাকে বঞ্চিত রাখার অভিযোগ তিনি আগেই তুলেছিলেন। তা নিয়ে সরব হয়ে তিনি বলেন, বাজেট পুরো ফাঁকা কলসির মতো। ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি। বাংলার জন্য কী বরাদ্দ করেছে? যদি রাজনৈতিকভাবে দেখা হয়, বিজেপির ১২ জন সাংসদ রয়েছে বাংলায়, বিহারেও ১২ জন সাংসদ রয়েছেন। বিহারকে এত কোটি কোটি বরাদ্দ, বাংলাকে কেন বঞ্চনা? বাংলা মাথা নত করেনি বলে?
অভিষেক সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করে বলেন, এই যে ৪৪ হাজার কোটি টাকা পঞ্চায়েত দফতরকে বরাদ্দ করেছে, এর মধ্যে কি জাত থেকে ধর্ম দেখে বরাদ্দ করা হয়েছে? মাইনোরিটি দফতরের ক্ষেত্রে বিজেপি বাজেট ১৫৭৫ কোটি টাকা থেকে ৬৮২ কোটি টাকা হয়েছে কেন? ৫৬ শতাংশ কমেছে কেন? মাইনোরিটিরা ভোট দেয় না বলে? জাতির রাজনীতি করে ওরা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই মর্মে তিনি বলেন, সুকান্ত মজুমদারের উচিত আত্মবিশ্লেষণ করা। আর পাঁচ হাজার কম ভোট পেলে, বালুরঘাটে বিজেপি হেরে যেত। পরেরবার আসন ধরে রাখতে পারবে না।