ফের তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য রাজ্য পুলিশ ও বিচার বিভাগ। গুড়াপের শিশু ধর্ষণ-খুনের ৫৪ দিনের মাথায় দোষী প্রতিবেশী প্রৌঢ়কে ফাঁসির সাজা দিল চুঁচুড়ার পকসো আদালত। ঘটনায় পুলিশ ও বিচার বিভাগের ভূমিকার প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “আমাদের পৃথিবীতে ধর্ষকের কোনও স্থান নেই। আমরা সবাই মিলে কঠোর আইন, সামাজিক সংস্কার ও কঠোর প্রশাসনের মাধ্যমে এটিকে আমাদের শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান করে তুলব। এ ধরনের কোনও অপরাধ করে কেউ ছাড় দেবে না”, এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার থাকা আর জি করের চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এখনও অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব হয়নি। অথচ রাজ্য পুলিশের তদন্তে হুগলির গুড়াপে শিশু কন্যার ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত অশোক সিং-কে ৫২ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল চুঁচুড়ার পকসো আদালত। ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ২৪ নভেম্বর। অভিযোগ ছিল, পাঁচ বছরের ওই শিশু কন্যাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী অশোক। তার বাবা বাজার থেকে মাংস কিনে আনতে গিয়েছিল। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগই কাজে লাগিয়েছিল অশোক। শুক্রবার তার ফাঁসির সাজা ঘোষণা হল। রায় ঘোষণার পরে ‘গুড়াপ থানা জিন্দাবাদ’ স্লোগান ওঠে আদালত চত্বরে। মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় পুলিশকে।
সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আজ, গুড়াপের ছোট মেয়েকে ধর্ষণ-খুনে দোষীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত এবং এর জন্য আমি বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। আমি হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশকে তাদের দ্রুত পদক্ষেপ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এর ফলেই ৫৪ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার এবং দোষী সাব্যস্তস সাজা ঘোষণা নিশ্চিত হয়েছে।
শিশুর পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “আমাদের পৃথিবীতে ধর্ষকের কোনও স্থান নেই। আমরা সবাই মিলে কঠোর আইন, সামাজিক সংস্কার ও কড়া প্রশাসনের মাধ্যমে এটিকে আমাদের শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান করে তুলব। এ ধরনের কোনও অপরাধ শাস্তির বাইরে থাকবে না”, স্পষ্ট জানান তিনি।