বারবার ফুটে উঠেছে বাংলার প্রতি মোদী সরকারের অবহেলা ও বঞ্চনার প্রতিচ্ছবি। এবার সংবিধান দিবসে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন থেকে সেপ্রসঙ্গেই কেন্দ্রকে তুলোধোনা করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরে সংবিধান নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। অন্যান্য অনুচ্ছেদ নিয়েও প্রয়োজন আলোচনা। সেইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও গর্জে ওঠেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্য তাঁদের প্রাপ্য অধিকার পাচ্ছে না। এক অদ্ভুত সমীকরণে সংবিধান না মেনে টাকা আটকে রাখছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে রাজ্য বিধানসভায় বসেছে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশনের প্রথম দিনে পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন, “২৯ নভেম্বর থেকে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। সেই অধিবেশনে আমরা আমাদের রাজ্যের অধিকারের কথা তুলে ধরব। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও আমাদের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। সংবিধান লঙ্ঘন করছে। কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে, তার কোনও সদুত্তর নেই কেন্দ্রের কাছে।”
পাশাপাশি তিনি জানান, “গণতন্ত্রকে প্রতিনিয়ত হত্যা করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নাটক করছে কেন্দ্র।” এদিন বিধানসভায় আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যাোপাধ্যায়, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ বিশিষ্টরা। এদিনই সন্ধেয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে রাজভবনে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করবেন খোদ রাজ্যপাল। “সংবিধান দিবসে বক্তৃতা করবেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্যামল সেন, প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, এস আর কুরেশি, বর্তমান রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন। আমরা বিধানসভায় দুটি দিন সংবিধান দিবস হিসাবে পালন করছি। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার সংবিধানের উপর বক্তব্য পেশ করবেন”, জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।