অভাবনীয় নৃশংসতার সাক্ষী রইল পুরুলিয়া। মানবাজারের একটি স্কুলে ক্লাস ওয়ানের এক ছাত্রকে খুন করল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র! পড়ুয়ার মৃত্যুতে স্কুলে ছুটি পাওয়া যায়, বড়দের কাছ থেকে শুনেছিল অভিযুক্ত ছাত্র। আর সেই কারণেই ক্লাস ওয়ানের ছাত্রকে খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়েছে। হুগলির একটি হোমে রাখা রয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রকে। ঘটনার ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছেন শিক্ষক মহল থেকে অভিভাবকরাও। আতঙ্কিত স্কুল পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মানবাজারের একটি বেসরকারি আবাসিক স্কুলের। গত মঙ্গলবার সেখানেই শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে। ক্লাস ওয়ানের এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। তার মুখ থেঁতলে দেওয়া ছিল। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। আবাসিক স্কুলের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেই তদন্তকারীরা বুঝতে পেরেছিলেন, কিছু একটা গণ্ডগোল রয়েছে। চেপে ধরা হয় তাকে। তার কথায় ধরা পড়ে অসঙ্গতি।
পুলিশ জানিয়েছে, টানা জেরায় অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্র ভেঙে পড়ে। এরপর পুলিশি জেরায় সে স্বীকার করে, চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ক্লাস ওয়ানের ওই ছাত্রকে স্কুলের পাশে একটি পুকুরের ধারে নিয়ে গিয়েছিল সে। সেখানে তাকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করে। তারপর পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় দেহ। পুকুর থেকে দুদিন বাদে উদ্ধার হয় ক্লাস ওয়ানের ছাত্রের দেহ। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই ছাত্র প্রথমে এটাই মনে করাতে চাইছিল, যে পুকুরে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। কিন্তু ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, ছাত্রকে খুন করা হয়েছে। ছাত্রের মুখ থ্যাঁতলানো ছিল। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্র কয়েকদিন আগেই স্কুলে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু সে বাড়ি যেতে চাইছিল। আর সে কারণেই এই পরিকল্পনা। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জুভেনাইল আদালতে এই মামলা বিচারাধীন। আপাতত হুগলির একটি হোমে রাখা হয়েছে অভিযুক্তকে।