অবশেষে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ১৫ বছর পর কাটল বাম জমানার জট। অনশন তুললেন প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। কুণালের হস্তক্ষেপে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পরই তাঁরা আন্দোলনে ইতি টানলেন তাঁরা। মঙ্গলবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁদের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক। এদিন মোট ৩৬৪ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর পর ফলের রস খেয়ে অনশন ভাঙেন চাকরিপ্রার্থীরা। বাম জমানার জট এতদিন পর কেটে যাওয়ায় খুশি তাঁরা।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ১৮৩৪টি শূন্য পদ ছিল। আগেই ১৫০৬ জনের তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৭৬ জন চাকরিতে যোগ দেননি। বাকি যে ৩২৮ জন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৩১৪ জনের এবং আগে যোগ না দেওয়া শূন্যপদে আজ ওই শূন্য পদে আরো ৫০ জনকে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে। এদিন থেকেই তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের অনশন প্রত্যাহারের পর কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় জানান, বহু জট ছিল। ডিপিএসসি চেয়ারম্যান অজিত নায়েক প্রকাশ করলেন, নিয়োগপত্র দান শুরু হল।