ভোট-পূর্ববর্তী আবহে বিরল চিত্রের সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমান। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সদ্যই শেষ হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। ভোটের এখনও বাকি বেশ কয়েকদিন। তার আগেই প্রার্থী ও নেতাদের গলায় মালা পরিয়ে বিজয়োৎসব উদযাপন করল ঘাসফুল শিবির। পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নম্বর ব্লকের মসজিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। তাই শুক্রবার আনন্দে মেতে ওঠেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। আর দলীয় কার্যালয়ের এই আনন্দ উৎসবে যোগ দিলেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া দুই সিপিএম প্রার্থীও! প্রসঙ্গত, এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ১৩টি আসন। তার মধ্যে ৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। ৫টি আসনে নির্বাচন হবে। জানা গিয়েছে, মসজিদপুর গ্রাম থেকে রোজিনা বেগম এবং শ্রীধরপুর গ্রাম থেকে সত্যেন বাগদি সিপিএম প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এদিন গলায় মালা পরে সবুজ আবিরও মাখেন রোজিনা ও সত্যেন। রোজিনা বলেছেন, “সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম ঠিকই। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম এলাকায় শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রচারে বলার কিছু নেই। এলাকার সব উন্নয়নই করেছে তারা। তাই স্বেচ্ছায় মনোনয়ন তুলে নিয়েছি।” একই কথা শোনা গিয়েছে সত্যেনের মুখে। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেছেন, “এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। তৃণমূলের হুমকিতে ওরা এমন বলতে বাধ্য হচ্ছে।” তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গুল মহম্মদ মোল্লা দাবি, গত ৫ বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে মানুষ তাঁদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। দলের ব্লক সভাপতি সুজন মণ্ডল জানিয়েছেন, ১৩টির মধ্যে ৮টি জয় পাওয়ায় বোর্ড তৃণমূলের হাতেই চলে এসেছে। যে পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণ হবে তাতেও তৃণমূল জিতবে, আত্মবিশ্বাসের সুরে এমনই জানিয়েছেন তিনি।