আর বেশি দেরি নেই। সামনেই বাংলাজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেবার কাজ। এই আবহে ফের অস্বস্তিতে পড়ল বঙ্গ বিজেপি। কোচবিহারে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গেরুয়াশিবিরে ভাঙন ধরল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কোচবিহার জেলা এসসি মোর্চার সম্পাদক তথা দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের কনভেনার বিশ্বনাথ কিন্নর-সহ দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েক জন নেতা। শুক্রবার দিনহাটায় তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে বিশ্বনাথ-সহ বিজেপি নেতাদের হাতে ঘাসফুল আঁকা পতাকা তুলে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। বিশ্বনাথ কিন্নর-সহ দিনহাটা-২ ব্লকের বুড়িরহাট-১ এবং বুড়িরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা নেতারা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে।
প্রসঙ্গত, এই যোগদান নিয়ে উদয়ন বলেন, ‘‘বিশ্বনাথ কিন্নর ছাড়াও বুড়িরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বুড়িরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম সারির বিজেপির নেতা, যেমন— অভিজিৎ প্রামাণিক, পার্থ শীল, উত্তম অধিকারী, রতন অধিকারী এবং তাঁদের সঙ্গে বিজেপির বহু কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলত, দিনহাটা-২ ব্লকে আরও বেশি শক্তিশালী হল। আশা করি, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে।’’ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা বিশ্বনাথ কিন্নর বলেন, ‘‘বিজেপির মধ্যে থেকে বিজেপি কর্মীরা যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের দলের প্রতীক দেওয়ার পরেও তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হয়নি। তাই আমি এবং বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছি।’’ নির্বাচনের আগে এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে গেরুয়া-নেতৃত্ব।