ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। যুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আফ্রিকার সুদান। সেখানে থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাতে তৎপর ভারত সরকার। এখনও সে দেশে আটকে রয়েছেন হুগলি জেলার দুই পৃথক গ্রামের যুবক। ক্রমাগত গোলাগুলির মধ্যে প্রাণ হাতে নিয়ে কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন হুগলির আমিনুর ও রুহুল। দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের লোকজনদের। সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গত ১৫ই ডিসেম্বর হারিটের জেটে গ্রাম থেকে সুদান পাড়ি দিয়েছিলেন বছর ৩৮-এর আমিনুর রহমান মণ্ডল। স্থানীয় এক এজেন্ট মারফত কথা হয়ে সুদানের জুয়েলারির দোকানে কাজের জন্য যান তিনি। সেখানে গিয়েই বিপাকে পড়েন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা ও স্ত্রী, তিন মেয়েকে ফেলে বাড়তি কিছু আয়ের আশায় বিদেশে গিয়েছিলেন আমিনুর।
এপ্রসঙ্গে আমিনুরের পরিবারের অভিযোগ, যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান থেকে আসতে দিচ্ছে না দোকান মালিক। ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের দাবি, অবিলম্বে আমিনুরকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সুদান থেকে ইতিমধ্যে অনেক ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও বেশ কিছু মানুষ আটকে রয়েছেন। হারিটের আমিনুর ছাড়াও হুগলির পান্ডুয়ার গোয়ারা গ্রামের বাসিন্দা শেখ রুহুল আমিন রয়েছেন। তার স্ত্রী আমিনা বিবিও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। সেপ্টেম্বর মাসে সুদানে গিয়েছিলেন রুহুল। গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে সুদানের রাজধানী খার্তুম সহ কয়েকটি শহরে যুদ্ধ শুরু হয়। এখনও অশান্ত পরিস্থিতি। টেলিফোন মারফত আমিনা বিবি জানান, শেষবার স্বামী যখন ফোন করেছিলেন তিনি ফোনের মধ্যেই শুনতে পান বাইরের গোলাগুলির শব্দ। এই সবকিছুর মধ্যে প্রবল উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন আমিনুর ও রুহুলের পরিবারের লোকজনরা।